Mahalakshmi Vrat: শুরু হচ্ছে মহালক্ষ্মী ব্রতের উদযাপন, জেনে নিন দিন-তিথি...
লক্ষ্মীকে আমরা সবাই ধনসম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী বলেই জানি। এই মহালক্ষ্মীর ব্রতও সেই উদ্দেশ্যেই। এই ব্রত গোটা ভারতে পালিত হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিষ্ণুপুরাণ ও নারদপুরাণে এই ব্রতের উল্লেখ আছে। এই পুজোয় অষ্টলক্ষ্মীর কৃপালাভই আসল কথা। এই পুজোয় ও ব্রতে সেই অষ্ট লক্ষ্মীর আরাধনাই করা হয়। সব মিলিয়ে মহালক্ষ্মী ব্রত একটি ষোলো দিনের ব্রত-পর্ব।
কবে কখন তিথি:
অষ্টমী তিথি পড়ছে ৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে
অষ্টমী তিথি শেষ হচ্ছে ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে
তবে মহালক্ষ্মী ব্রত শেষ হচ্ছে ১৭ সেপ্টেম্বর
যেদিন থেকে এই ব্রত পড়ছে সেদিন সকাল থেকে প্রতিদিন টানা লক্ষ্মীর প্রার্থনা করতে হবে। এই ষোলোদিন নিরামিষ খাওয়াই বিধি। এই সময় পর্বে লক্ষ্মীর আটটি রূপেরই আরাধনা করা হয়। নারকেল, আম্রপল্লব-সহ জলপূর্ণ ঘটস্থাপন করার বিধি আছে এ পুজোয়। ঘটে সিঁদুর, চন্দন হলুদ কুঙ্কুম দিতে হয়। নতুন কাপড়ও দিতে হয় এক টুকরো। লক্ষ্মীপুজোর এই সময়ে ষোলোটা গিঁট বাঁধা একটি তাগা হাতে পরতে হয়। পুজোর পরে ষোলোটি দূর্বার একটি আঁটি বেঁধে এটা জলে ডুবিয়ে নিয়ে শরীরে জলছড়া দিন। পুজোর পরে ব্রতকথা পাঠ করার রীতি আছে।
আরও পড়ুন: Rishi Panchami:ঋষি পঞ্চমীতে বিশেষ করে কাদের পুজো করতে হয় জানেন?
লক্ষ্মীকে আমরা সবাই ধনসম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী বলেই জানি। এই মহালক্ষ্মীর ব্রতও সেই উদ্দেশ্যেই। এই ব্রত গোটা ভারতে পালিত হয়। তবে এই পুজো সব চেয়ে বেশি প্রচলিত অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, কর্ণাটক ও তামিল নাডু রাজ্যে। সম্পদ বল শক্তি জ্ঞান সাফল্য সাহস প্রার্থনা করা হয় মায়ের কাছে। মা লক্ষ্মী তো শস্যের দেবী। ফলে মা লক্ষ্মীর ব্রতে খাদ্যের প্রার্থনাও থাকে-- যেন কখনও অন্নকষ্ট না হয়, এই প্রার্থনা করা হয় মায়ের কাছে।
চলছে গণেশ চতুর্থীর আবহ। এরই মধ্যে চলে এল এই লক্ষ্মীর ব্রত-পূজা। লক্ষ্মীর মতো গণেশেরও অষ্টরূপ-- যেমন বক্রতুণ্ড; ভগবান গণেশের প্রথম অবতার। ত্রিলোক একদা মৎসর নামক দৈত্যের প্রতাপে অস্থির ছিল। গণেশ এই অবতারে সেই দৈত্যকে ধ্বংস করে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিলেন। দ্বিতীয় একদন্ত-- 'এক' মানে মায়া, 'দন্ত' মানে সত্য। একদন্ত-এর অর্থ তাই হল সর্বোত্তম সত্য়। তৃতীয় মহোদর-- এটি গণেশের তৃতীয় অবতার। এই অবতারে তিনি ক্ষমার প্রতিমূর্তি। পুরাণমতে, একদা ভ্রমের দৈত্যের মুখোমুখি হয়েছিলেন গণেশ, কিন্তু তিনি তাঁকে কোনও শান্তি দেন না, বরং তাঁর সমস্ত অতীত অপরাধ ক্ষমা করে দেন। চতুর্থ গজানন -- হাতি বা গজের মতো আনন যাঁর তিনিই গজানন। এই অবতারে গণেশ লোভকে দমন করেন। লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু-- অতঅব পাপ থেকে মুক্ত করেন বিশ্বকে। পঞ্চম লম্বোদর; এই অবতারে গণেশ ক্রোধাসুরকে বধ করেন। এই অবতাররূপের বার্তা তাই ক্রোধ দমন। ষষ্ঠ বিকট রূপ। বহু দেবদেবীর বহু প্রার্থনার শেষে গণেশকে এই অবতারে আবির্ভূত হতে দেখা যায়। এই রূপে গণেশ কামাসুরের হাত থেকে তাঁদের রক্ষা করেন। বিঘ্নরাজ-- ভগবান গণেশের অতি জনপ্রিয় রূপ এটি। সমস্ত বাধা দূর করেন ভগবান গণেশ। এজন্যই তিনি সিদ্ধিদাতা। এবং শেষতমটি হল ধুম্রবাণ; আমাদের মনের ভিতরে যে অহংকারাসুর আছে তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই গণেশের এই অবতারে প্রকাশ।