Microwave Oven: সময়ের অভাবে মাইক্রোওভেন-এ খাবার গরম করে খান? বিপদ ডেকে আনছেন
শুকনো খাবার মাইক্রোওভেনে গরম করলে তাতেই বেশি পরিমাণে কার্সিনোজেনিক উপাদান ‘অ্যাক্রেলামাইড’ উৎপন্ন হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: সারাদিনের ব্যস্ততার মাঝে রোজকার রান্না করা অনেকরই অসুবিধের কারণ হয়ে যায়। তাই রান্না করা খাবার মাইক্রোওভেনই গরম করে খাওয়াই ভরসা। প্রায় সকলের বাড়িতেই মাইক্রোওভেন অতি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। করোনাকালে গরম গরম খাবার সকলেই খান। সংক্রমণের ভয় কম, স্বাদেও দুর্দান্ত। সবেতেই মাইক্রোওভেনই সহজ সমাধান। কিন্তু স্বাস্থ্যগুণে এটি কতটা নিরাপদ?
WHO-র গবেষণায় প্রমাণিত, মাইক্রোওভেনে রান্নার ক্ষেত্রে মাইক্রোওভেনের রেডিয়েশনই বিপজ্জনক, তা নয়। তবে অন্যান্য বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তা বেশি। এই মাধ্যমে রান্না করার ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ কতটা কমছে, প্লাস্টিকের পাত্রে উচ্চ তাপমাত্রায় খাবার গরম করার ফলে তা শরীরে গিয়ে কী ক্ষতি করছে-এ বিষয়গুলি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে।
বিশেষত শুকনো খাবার মাইক্রোওভেনে গরম করলে তাতেই বেশি পরিমাণে কার্সিনোজেনিক উপাদান ‘অ্যাক্রেলামাইড’ উৎপন্ন হয়। বিশেষত, দানাশস্য জাতীয় খাবার শুকনো গরম করলে তাতেই এই উপাদান উৎপন্ন হয়। যেমন, ভাত, বিভিন্ন শুকনো ডাল, রুটি, ডালিয়া, চিঁড়ে ইত্যাদি উচ্চমাত্রায় গরম করলে ক্ষতি। এমনকী, উচ্চ তাপমাত্রায় ২-৩ মিনিট খাবার গরম করলেও তা থেকে এই ক্ষতিকারক উপাদান তৈরি হতে পারে।
তবে ফ্যাটি খাবার যেমন, দুধ, ডিম, মাখন-ঘি যুক্ত খাবার মাইক্রোওভেনে গরম করলে এই খাবারে উপস্থিত গুড ফ্যাটগুলি নষ্ট হয় রেডিয়েশনের প্রভাবে। অনেক সময় দেখা যায় মাইক্রোওভেনে গরম করলেও পুরো খাবার ভিতর পর্যন্ত গরম হয় না। বিশেষত, মাংস (রেডমিট), মিষ্টি, কোনও ভাজা খাবার গরমের ক্ষেত্রে এমন দেখা যায়। এতে করে খাবারের মধ্যে অনেক মাইক্রোঅর্গাজমের বৃদ্ধি ঘটে ও ক্ষতিকারক মাইক্রো টক্সিন তৈরি করে। যা শরীরে গিয়ে নানা রোগের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। ডিএনএ-র ড্যামেজও করতে পারে।
আরও একটি বিপজ্জনক ব্যাপার, রেস্তোরাঁ থেকে বিভিন্ন খাবার কিংবা বিরিয়ানি কিনে এনে প্লাস্টিকের কন্টেনারে রেখেই তা মাইক্রোওভেনে গরম করেন অনেকেরই। কিংবা প্লাস্টিকের পাত্রেও গরম করেন, এতে প্লাস্টিকে উপস্থিত বিসফেনল এ খাবারে মিশে শরীর যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সবসময় কাচের পাত্রে খাবার গরম করুন। শস্যজাতীয় খাবার মাইক্রোওভেনে ইষৎ উষ্ণ গরম করবেন। এই ধরনের খাবার মাইক্রোওভেনে প্রচণ্ড গরম করলে তার পুষ্টিগুণ একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়।
বিনস, গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, শাক জাতীয় জিনিস মাইক্রোওভেনে গরম না করাই ভাল। তৈলাক্ত বা চর্বিজাতীয় খাবার গ্যাসে গরম করুন। যে কোনও মাংসের ঝোল মাইক্রোওভেনে গরম না করাই ভাল।
অনেক দিনের ফ্রিজে রেখে দেওয়া খাবার সব সময়ই গ্যাসে গরম করাই ভাল বলে মত চিকিৎসকদের।