পৃথিবীতে প্রথম জলের ছোঁয়া গ্রহাণুর হাত ধরেই
পৃথিবীতে জলের সৃষ্টি কীভাবে হয়েছে তার নতুন তত্ত্ব প্রকাশিত হল সায়েন্স পত্রিকায়। উল্কা ও গ্রহাণুর সংস্পর্শেই নাকি পৃথিবীতে জলের উত্পত্তি হয়েছে এমনই উঠে আসছে নতুন গবেষণায়। কিন্তু কীভাবে?
ওয়েব ডেস্ক: পৃথিবীতে জলের সৃষ্টি কীভাবে হয়েছে তার নতুন তত্ত্ব প্রকাশিত হল সায়েন্স পত্রিকায়। উল্কা ও গ্রহাণুর সংস্পর্শেই নাকি পৃথিবীতে জলের উত্পত্তি হয়েছে এমনই উঠে আসছে নতুন গবেষণায়। কিন্তু কীভাবে?
উডস হোল ওসিয়ানোগ্রাফিক ইন্সটিউশনের অ্যাডাম সারাফিয়ান জানিয়েছেন, আমরা পৃথিবীতে সমুদ্রের উত্পত্তি নিয়ে যে ভাবনাচিন্তা করতাম , নতুন গবেষণা আর কয়েক কোটি বছর পিছিয়ে দিয়েছে। যদি আমরা ঘড়ির কাঁটা পিছিয়ে দিই, প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে, সেইসময় সৌরজগত তৈরি হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পৃথিবী সেইসময় ছিল একবারে শুকনো, উচ্চ ক্ষমতাবাণ ও উচ্চ তাপমাত্রার কঠিন বস্তু। কিন্তু বরফে সিক্ত উল্কা ও গ্রহাণুর ধাক্কায় পৃথিবীর রূপ একেবারে পাল্টে যায়।
পৃথিবীতে জলের উত্স গবেষণায় মেটিওরাইটস অর্থাত উল্কা তত্ত্বর হাত রয়েছে। সৌরজগতের ইতিহাসে এই তত্ত্ব বারংবার ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকিছু উল্কা ও গ্রহাণু রয়েছে যা পৃথিবীতে জলের উত্পত্তিতে সাহায্য করেছে।
কার্বনাসিয়াস কনড্রাইট সূর্যের সৃষ্টির সময়কালীন একটি উল্কাপিণ্ড। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, সেইসময় হয়ত কোনও গ্রহের উত্পত্তি হয়নি। কার্বনাসিয়াস কনড্রাইটে রয়েছে বেশিরভাগ জলের উপাদান (৩% থেকে ২২%)। এছাড়াও রয়েছে সিলিকেটস, অক্সাইড এবং সালফাইডস।
সেইরকম সৌরজগতের সবথেকে বড় গ্রহাণু ভেসটাতে লক্ষ্য করা গেছে পৃথিবীতে থাকা সমস্ত রাসায়নিক পদার্থ। সারাফিয়ান ও তাঁর দল, আন্টার্টিকা থেকে উদ্ধার করেছেন কিছু ম্যাগমার তাল, যা ভেসটাতেও এই উপাদান লক্ষ্য করা গেছে। সবথেকে বড় কথা, বিজ্ঞানীরা বিস্ময় হলেও একথা মেনে নিয়েছেন, পৃথিবী ও ভেসটা সৌরঝড়ের খুব কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর বিপুল পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু ভেসটা থেকেছে হিমায়িত অবস্থায়। তাই সারাফিয়ান বলছেন, ভেসটার স্ন্যাপসট হল পৃথিবীর সেইসময়কার শৈশব অবস্থা।