ভারতের এমন কয়েকটি মন্দির যেখানে ঢুকতে দেওয়া হয় না মহিলাদের

মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলায় এক মহিলার মন্দিরে ঢুকে পড়ার জন্য সাসপেন্ড করা হল ৭জন নিরাপত্তারক্ষীকে। শনিবার দিন একটু ফাঁক পেয়েই মহারাষ্ট্রের সিগনাপুর গ্রামের মধ্যে একটি শনি মন্দিরে ঢুকে পড়েন ওই মহিলা। তিনি দাবি করেছিলেন ঠাকুরকে পুজো এবং প্রার্থনা করার জন্য তিনি মন্দিরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষের এই কাজ ভালো চোখে না দেখে সাসপেন্ড করে দেয় ওই ৭জন নিরাপত্তা রক্ষীকে।

Updated By: Dec 2, 2015, 04:23 PM IST
ভারতের এমন কয়েকটি মন্দির যেখানে ঢুকতে দেওয়া হয় না মহিলাদের

ওয়েব ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলায় এক মহিলার মন্দিরে ঢুকে পড়ার জন্য সাসপেন্ড করা হল ৭জন নিরাপত্তারক্ষীকে। শনিবার দিন একটু ফাঁক পেয়েই মহারাষ্ট্রের সিগনাপুর গ্রামের মধ্যে একটি শনি মন্দিরে ঢুকে পড়েন ওই মহিলা। তিনি দাবি করেছিলেন ঠাকুরকে পুজো এবং প্রার্থনা করার জন্য তিনি মন্দিরে ঢুকেছিলেন। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষের এই কাজ ভালো চোখে না দেখে সাসপেন্ড করে দেয় ওই ৭জন নিরাপত্তা রক্ষীকে।

তবে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের শনি মন্দির নয় ভারতের আরও অনেক মন্দির আছে যেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়না মহিলাদের। এবার দেখে নেওয়া যাক কোন কোন মন্দিরে ঢুকতে পারেন না মহিলারা...

১. লর্ড আয়াপ্পার মন্দির, শবরীমালা
ভগবান আয়াপ্পার ধ্যান যাতে ভঙ্গ না হয় তার জন্যই মহিলাদের ঢুকতে দেওয়া হয় না এই মন্দিরের ভিতরে। তবে ১২ থেকে ৫০ বছরের মহিলাদেরই শুধুমাত্র ঢুকতে দেওয়া হয় না। কারণ তাদের ঋতুচক্র চলার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু তার থেকে বেশি বয়সী মহিলাদের ঢুকতে দেওয়া হয় এই মন্দিরে।

২. লর্ড কার্তিকেয়ার মন্দির, পেওয়া হরিয়ানা
এই মন্দিরে ভগবান কার্তিকের অবিবাহিত হওয়ার জন্য ঢুকতে দেওয়া হয় না মহিলাদের। এই মন্দিরিটি পাঞ্জাব-হরিয়ানা বর্ডারে অবস্থিত। কথিত আছে, কার্তিক একদিন ধ্যানে বসেছিলেন। তখন ব্রহ্মা তাঁর ধ্যান ভঙ্গের জন্য একজন অপসরাকে পাঠিয়েছিলেন। তখন কার্তিক রেগে গিয়ে তাকে পাথর বানিয়ে দিয়েছিল। সেই থেকেই কার্তিক বলেছিলেন এই মন্দিরে কোনও মহিলা ঢুকলে তাকে পাথর বানিয়ে দেবেন তিনি। তারপর থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

৩. মাওয়ালী মাতার মন্দির, ছত্তিসগড়
এই মন্দিরের দুজন পুরোহিত শ্যামলাল সাধু এবং শিব ঠাকুর মহিলাদের ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তাঁদের মত ছিল একদিন ভবান নিজে মাটি থেকে উঠে এসে তাঁদের বলেছিলেন, তিনি এখনও অবিবাহিত আছেন, তাই তিনি চাননা কোনও মহিলা এসে তাঁকে পয়সা দিয়ে যাক। তারপর থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢোকা। তবে মহিলাদের জন্যও একটি বিশেষ জায়গা তৈরি করা হয়েছে মন্দিরের ভিতরে যেখানে যেতে পারেন মহিলারা।  

৪. হাজি আলি দরগা
বেশিরভাগ মুসলিম সমাধিস্থলে মেয়েদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। কিন্তু হাআজি আলির দরগার তরফ থেকে বম্বে হাইকোর্টে জানানও হয়, কোনও পুরুষ মুসলিম সাধুর সমাধিস্থলে মেয়েদের যাওয়াকে পাপ হিসেবে গণ্য করা হয়।

৫. শ্রীকৃষ্ণের মন্দির, কেরালা
এই মন্দিরে মেয়েদের ঢুকতে দেওয়া হলেও নালাম্বালাম নামে মন্দিরের একদম ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না মেয়েদের। বহু যুগ আগে দুজন সন্যাসী ৬ মাসের জন্য এই মন্দিরে এসে বাস করেছিলন। তাঁরা অবিবাহিত থাকার জন্য তখন মেয়েদের এই মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে কিছুদিনের নিষেধাজ্ঞা নিয়মে পরিনত হয়।

৬. পতবাউসি সান্ত্রা, অসম
১৫র দশকে সাধু এবং দার্শনিক শ্রীমন্ত শংকরদেব মহিলাদের পতবাউসি সান্ত্রার মতো পবিত্রতম স্থানে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। কিন্তু অসমের রাজ্যপাল জেবি পটনায়ক এসে ২০ জন মহিলাকে এই মহিলাকে মন্দিরে ঢোকার অনুমতি দেন।  

৭. জনৈ মন্দির, রনকপুর
ভারতের জনৈ মন্দির গুলোর মধ্যে এই মন্দির খুবই জনপ্রিয়। ১৫র দশকে রাজস্থানে তৈরি করা হয় এই মন্দিরটিকে। যেখানে মহিলাদের কখনওই ঢুকতে দেওয়া হয় না। বিশেষ করে ঋতুচক্র চলার সময় একদমই ঢুকতে দেওয়া হয় না। এছাড়া এই মন্দিরে ঢুকতে গেলে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত পুরো পা ঢাকা থাকলে তবেই ঢোকার অনুমতি দেওয়ায় হবে।  

 

.