সুস্থ থাকতে খান পোস্ত
চায়ের কাপে কয়েক দানা পোস্ত। রাতে বিন্দাস ঘুম। উত্তেজনা কম করে, অনিদ্রা দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আধঘণ্টা আগে পোস্ত দেওয়া চা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হার্টের সমস্যা? গাদা গাদা ওষুধ খেয়েও কমছে না কোলেস্টেরল? পোস্ত খান। গরমে রোজ মেনুতে থাক পোস্ত। হার্ট ভাল রাখতে পোস্তর জুড়ি নেই।
ইস্তানবুল বা জাপান-প্যারিস গিয়ে ভজহরি মান্না যত নতুন রান্না শিখুন না কেন, আলু-পোস্ত রান্না করতে খুব বেশি শেখাশিখির প্রয়োজন নেই। তাছাড়া, বাঙালির কি আর আলু-পোস্ত না হলে চলে! শুধু আলু-পোস্তই নয়, পোস্ত মানে মাখোমাখো হাজারো পদ।
শুধু রসনার তৃপ্তিই নয়। গুণে ভরা পোস্ত শুধু জিভের স্বাদই পূর্ণ করে না, শরীর রাখে চাঙ্গা। কারণ, পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং মিনারেল।
এক নজরে পোস্তর কামাল-
- আবহাওয়া বদলের সময় শুকনো কাশি সারে পোস্ত দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবারে। এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ পোস্ত নারকেল দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শুকনো কাশি কমে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
- পোস্ত দানা শরীরকে ঠান্ডা রাখে। মুখের আলসার প্রতিরোধ করে। পোস্ত বাটার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে মুখে আলসারের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।
- পোস্তয় প্রচুর ফাইবার। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। শুকনো ভাতের সঙ্গে পোস্তবাটা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যে আরাম পাওয়া যায় বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
- ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমায় পোস্ত। ফলে হার্ট থাকে মজবুত ও সুস্থ। হার্ট অ্যাটাক কমাতে রোজ ডায়েটে অল্প হলেও পোস্ত রাখতে হবে।
- ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের কারণে হাড়কে শক্তিশালী করে পোস্ত।
- স্কিন ডিজিজে ন্যাচারাল রেমেডি পোস্ত। গাঢ় করে পোস্তবাটার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে লাগাতে হবে।
- ক্যালসিয়াম, আয়রন আর কপার থাকায় ব্রেনের কর্মক্ষমতা বাড়ায় পোস্ত।
- চায়ের কাপে কয়েক দানা পোস্ত। রাতে বিন্দাস ঘুম। উত্তেজনা কম করে, অনিদ্রা দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আধঘণ্টা আগে পোস্ত দেওয়া চা।
- পোস্তয় রয়েছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড। ত্বকের শুষ্কভাব দূর করে ত্বককে আর্দ্র করে।
- পোস্তয় প্রচুর জিঙ্ক থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পোস্ত।
আরও পড়ুন- বিপদের নাম বেড টি
তাই জমিয়ে খান ভাত, ডাল আর আলু-পোস্ত। খেতেও ভাল, কাজেও উপকারী।