Pind Daan in Gaya: মৃত্যুর পর গয়ায় পিন্ডদান, জানেন এই রীতির আসল কারণ?
Pind Daan in Gaya: জীবিত ব্যক্তির পূর্ব পুরুষ স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি স্থান পিতৃলোকে বাস করেন। যখন পরবর্তী প্রজন্মে কারো মৃত্যু হয় তখন পূর্ববর্তী প্রজন্মের একজন পিতৃলোক ছেড়ে স্বর্গে গমন করেন এবং পরমাত্মায় বিলীন হন। গয়ায় পিন্ডদানের মাধ্যমে পূর্ব প্রজন্মের ব্যক্তি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ঊর্ধ্বে উঠে যান।
Pind Daan in Gaya, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী পবিত্র তীর্থস্থানগুলির অন্যতম হয় গয়া। তীর্থযাত্রায় অনেকেই গয়া ভ্রমণে যান। কিন্তু বিশেষত হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষেরা পিতৃ-মাতৃ ঋণের শোধের জন্য পিতৃপুরুষের কিংবা পরলোকগত আত্মার শান্তি কামনার জন্য গয়াতে পিন্ডদান করতে যান। ভারতে যে সমস্ত তীর্থক্ষেত্র রয়েছে তার মধ্যে একমাত্র পারলৌকিক ক্রিয়াভূমি। মৃত্যুর কারণ যাই হোক না কেন, স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক উভয় ক্ষেত্রেই মৃত্যুর পর আত্মার মুক্তির জন্য গয়ায় পিণ্ডদান করা মহৎ কর্ম।
আরও পড়ুন- Week 5 | Daily Cartoon | সোমান্তরাল | চুরি করা মহাপুণ্য, যদি পেটে সয়...
কথিত আছে, জীবিত ব্যক্তির পূর্ব পুরুষ স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি স্থান পিতৃলোকে বাস করেন। যম পিতৃলোকের শাসক। যিনি মৃত্যুর দেবতা। তিনিই সদ্যমৃত ব্যক্তির আত্মাকে মর্ত্য থেকে পিতৃলোকে নিয়ে যান। যখন পরবর্তী প্রজন্মে কারো মৃত্যু হয় তখন পূর্ববর্তী প্রজন্মের একজন পিতৃলোক ছেড়ে স্বর্গে গমন করেন এবং পরমাত্মায় বিলীন হন। ফলত কেবলমাত্র পূর্ববর্তী তিন প্রজন্মেরই শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয় এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যম দেব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গয়ায় পিন্ডদানের মাধ্যমে পূর্ব প্রজন্মের ব্যক্তি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের ঊর্ধ্বে উঠে যান।
কথিত আছে গয়াপুরী গয়াসুরের নামে বিখ্যাত। গয়া মাহাত্ম্য থেকেই জানা যায় এই অসুরের আত্মত্যাগের কথা। গয়া ছিল অসুরকুলের মধ্যে মহাপরাক্রমশালী। গোয়ার শরীর দৈর্ঘ্য ছিল ১২৫ যোজন স্থুলতা ছিল ৬০ যোজন । তবে তিনি অসুর হলেও তিনি ছিলেন পরম বৈষ্ণব। এই গয়াসুর ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত । তার পিতার নাম ত্রিপুরাসুর এবং মাতা প্রভাবতী। আবার অনেকের মতে গয়া ছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মার সৃষ্টি, আর সেই কারনে কোন আসুরিক প্রবৃত্তিও ছিল না তার মধ্যে ।একবার গয়াসুর নাকি ভগবান শ্রীবিষ্ণুর কাছে বর প্রার্থনা করেছিলেন, যাতে গোয়াসুরের শরীর স্পর্ষ মাত্র মানুষ, অসুর , কীটপতঙ্গ, পাপী, ঋষি, মুনি, ভূত প্রেত পিশাচ সবাই যেন মুক্তিলাভ করে আর এই তাঁর প্রার্থনা শ্রীবিষ্ণু মঞ্জুর করেছিলেন। আর তাই আজও গয়াতে পিণ্ডদানের রীতি প্রচলিত।
আরও পড়ুন- Horoscope Today: অধৈর্য বৃষ, মকরের অর্থব্যয়! পড়ুন রাশিফল
গয়া মানে চিরকাঙ্খিত ‘শ্রীবিষ্ণুপাদপদ্ম’। তাই জন্যে গয়াকে বিষ্ণুক্ষেত্রও বলা হয়। এছাড়াও রামায়ণ অনুযায়ী, সীতা কুণ্ড নামক একটি স্থানে পিণ্ডদান করেছিলেন মা জানকী। হাত বাড়িয়ে সেই পিণ্ড গ্রহণ করেছিলেন রাজা দশরথ। সেই সময় সাক্ষী ছিল অক্ষয়বট, বহমান ফল্গুনদী, গোমাতা, পুরোহিত তথা ব্রাহ্মণ এবং তুলসী।