Irregular Periods : অনিয়মিত পিরিয়ডস! নিজের অজান্তেই কোন ঝুঁকি বাড়ছে শরীরে?
Irregular Periods : অনিয়মিত পিরিয়ডস সমস্যায় অধিকাংশ মেয়েই ভোগেন। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এমনকী পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার সম্ভাবনাও কম।
![Irregular Periods : অনিয়মিত পিরিয়ডস! নিজের অজান্তেই কোন ঝুঁকি বাড়ছে শরীরে? Irregular Periods : অনিয়মিত পিরিয়ডস! নিজের অজান্তেই কোন ঝুঁকি বাড়ছে শরীরে?](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/30/423002-dsfd.jpg)
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অধিকাংশ মেয়েরাই এখন অনিয়মিত পিরিয়ডসের (Irregular Period) সমস্যায় ভোগেন। অনিয়মিত পিরিয়ডস বলতে যদি প্রত্যেক মাসে পিরিয়ডসের মধ্যে ব্যবধান পরিবর্তিত হতে থাকে তবে এই সমস্যা হতে পারে। আসন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, একজন মহিলার শরীরের প্রজনন সিস্টেম এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের মধ্যে মিল আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে কেবল হার্টের ঝুঁকিই নয়, অনিয়মিত পিরিয়ডস থেকে একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড,পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (পিসিওএস), ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস, মেজাজ খিটখিটে, অস্বস্তি বোধ, মাথাব্যথা, ক্লান্তি- তারই কারণ।
গবেষণা আরও বলছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচার সম্ভাবনা কম। অন্য একটি গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, অনিয়মিত পিরিয়ডস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন মহিলাদের এই সমস্যা নিয়ে একটি জার্নাল বের করেছে। তারা UK বায়োব্যাঙ্কের প্রায় ৫৮ হাজার মহিলাদের পিরিয়ডস সংক্রান্ত সমস্যা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে একটি তালিকা বার করে। সেই তালিকায় মহিলাদের গড় বয়স ছিল ৪৬ বছর। যাদের কোনও রকম হার্টের সমস্যা ছিল না। কিন্তু সেই পরীক্ষায় এটাও দেখা যায়, যেসব মহিলাদের পিরিয়ডস ২১ দিনের থেকে আগে এবং ৩৫ দিনের অনেক পর হয় তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে প্রায় ১৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন : World No Tobacco Day 2023: ধূমপানে নিঃশব্দ মৃত্যু! তামাক সেবন নিয়ে কী বলছেন বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা?
তবে এই গবেষণাটি প্রথম নয়। এর আগেও অনেক গবেষণায় অনিয়মিত পিরিয়ডসের জন্য হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়েছে, তা দেখা গেছে। সাধারণত কিছু ক্ষেত্রে এমনিতেই অনিয়মিত পিরিয়ডস হতে পারে। তাতে ভয়ের কিছু নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনিয়মিত পিরিয়ডসে সমস্যা বাড়তে থাকে। আগে থেকে এখন পর্যন্ত অনেক মেয়েই পিরিয়ডসের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চায় না। তাই খুব বেশি অনিয়মিত পিরিয়ডস হলে বা কোনও কিছু অস্বাভাবিক মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে একজন গাইনিকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার।
আরও পড়ুন : Week 10 | Daily Cartoon | সোমান্তরাল | বং-কীর্তন
অনিয়মিত পিরিয়ডসের ফলে পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম সমস্যা দেখা দিতে পারে। পিসিওএস একটি হরমোনের সমস্যা। ইদানিং যা ৮০ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। এই সমস্যার ফলে ওভারির চারপাশে সিস্ট জমা হয়। পরবর্তীকালে এই সমস্যা প্রেগেনেন্সিতে অসুবিধার মুখে ফেলতে পারে।
তাই অনিয়মিত পিরিয়ডস সমস্যা হলে কফি, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় থেকে এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও ফাস্ট ফুড না খাওয়াই ভাল।