করোনা মহামারির আবহে গ্রাহকদের ‘ফিনান্সিয়াল ইমিউনিটি’র খোঁজ নিতে সমীক্ষা SBI Life-এর
করোনা মহামারির আবহে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষমতা বা ‘ফিনান্সিয়াল ইমিউনিটি’র খোঁজ নিতে সমীক্ষা চালাল SBI Life। সম্প্রতি সেই সমীক্ষার ফলাফল সামনে এল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা মহামারির আবহে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষমতা বা ‘ফিনান্সিয়াল ইমিউনিটি’র খোঁজ নিতে সমীক্ষা চালাল SBI Life। সম্প্রতি সেই সমীক্ষার ফলাফল সামনে এল।
দেশের অন্যতম জীবন বীমা সংস্থার অন্যতম, SBI Life ইনশিওরেন্স, এক বিস্তারিত গ্রাহক সমীক্ষা করেছে। এই সমীক্ষা থেকে কোভিডোত্তর দুনিয়ায় ফিনান্সিয়াল ইমিউনিটি সম্বন্ধে গ্রাহকরা কী ভাবছেন, সে ব্যাপারে গভীরভাবে ভাবনা চিন্তা করার রসদ পাওয়া যাবে। SBI Life, দ্য নিয়েলসেন কোম্পানিকে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কনজিউমার অ্যাটিচিউড টুওয়ার্ডস ফিনান্সিয়াল ইমিউনিটি’ সমীক্ষা করতে বলেছিল। দ্য নিয়েলসেন ভারতের ১৩টি প্রধান শহরের ২,৪০০-রও বেশি গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলেছে।
স্বাভাবিকভাবেই কোভিড-১৯ এর প্রকোপে শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার কথাই সবাই বেশি করে ভাবছে। প্রায় সব উত্তরদাতাই বলেছেন তাঁরা শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরে আগের চেয়েও বেশি জোর দিচ্ছেন। ১০ জনের মধ্যে ৮ জন ভারতীয়ই জানেন যে ‘স্ট্রেস’ শারীরিক ও মানসিক, দুরকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই কমিয়ে দেয়।
মানসিক চাপ ব্যাপারটাকে আরও গভীরে গিয়ে বোঝার জন্য এই সমীক্ষা গ্রাহকদের সর্বাধিক আর্থিক দুশ্চিন্তাগুলি কী কী তা জানতে চেয়েছে। যে তিনটে কারণ সবচেয়ে উপরে রয়েছে সেগুলি হল—
(১) জটিল রোগের জন্য আর্থিক সুরক্ষা, (২) পরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রাজনিত অসুখ বা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া এবং (৩) চাকরি বা রোজগার হারানো। এই কারণগুলি থেকে জীবনযাত্রাজনিত অসুখের খরচ সামলানোর চাপের কথা জোরালোভাবে উঠে আসে। চিন্তার বিষয় ৫০ শতাংশের বেশি ভারতীয় জীবনযাত্রা জনিত অসুখের ফলে হঠাৎ তৈরি হওয়া আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য প্রস্তুত নন।
আরও পড়ুন: চা-কফি, খাস্তা খানা আর গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণ! প্রমোদতরীতে ৯০ মিনিট মাত্র ৩৯ টাকায়!
অবশ্য আশার কথা, এই অতিমারির ফলে অনেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থা করে রাখার প্রয়োজন উপলব্ধি করেছেন। জটিল রোগের জন্য বিমা করা নেই এমন ১০ জনের মধ্যে ৭ জন পরিষ্কার বলেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই তাঁরা তেমন কোন পলিসি কিনবেন। এই সমীক্ষা থেকে পাওয়া আরও একটা আশাব্যঞ্জক তথ্য হল, ১০ জনের মধ্যে ৮ জন গ্রাহকেরই জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমা করানোর উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার— পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা।