এই চার বিষয়ে ভুলেও অপরকে কিছু জানাবেন না! পরামর্শ আচার্য চাণক্যের
আসুন সেই চার বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
আচার্য চাণক্যকে ভারতীয় শাস্ত্রের সেরা পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে গন্য করা হয়। আচার্য চাণক্য মানব জীবনকে প্রভাবিত করার প্রতিটি বিষয় খুব গভীরভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন। এই কারণেই চানক্যের নীতি আজও প্রাসঙ্গিক। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতরা এ কথা বিশ্বাস করেন যে, যিনি আচার্য চাণক্যের নীতি নিয়মিত অধ্যয়ন করেন, তাঁর জীবন থেকে দুঃখ ও দুর্দশা সহজেই দূর হয়। শুধু তাই নয়, যে কোনও বিপর্যয়েও অবিচল থাকার শিক্ষা ও শক্তি মেলে এই দর্শন থেকে।
পণ্ডিত চাণক্যের মতে, জীবনে এমন চারটি বিষয় রয়েছে, যেগুলি নিয়ে কখনওই অন্যের সঙ্গে শলাপরামর্শ বা আলোচনা করা উচিত নয়। আসুন সেই চার বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক...
আর্থিক ক্ষতির কথা:
নিজের জীবনের আর্থিক ক্ষতির কথা কাউকে জানাবেন না। যদি আপনি অর্থ সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যান, তা নিজের মধ্যেই চেপে রাখুন। চাণক্যের মতে আর্থিক সঙ্কটের কথা জেনে কেউ আপনাকে সাহায্য করবে না, আপনার পাশে দাঁড়াবে না, দাঁড়ালেও তা হবে কপটতা। তাঁর মতে সমাজের দরিদ্র কখনই সম্মান পায় না।
ব্যক্তিগত সমস্যার কথা:
নিজের কোনও সমস্যার কথা সর্ব সমক্ষে না বলাই চাণক্যের নীতি। ব্যক্তিগত সমস্যার কথা গোপন রাখার কথাই বলেছেন চাণক্য। ব্যক্তিগত সমস্যার কথা সবাই জানলে তা উপহাসিত হতে পারে। সবাই তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করবে।
স্ত্রীর চরিত্রের কথা:
অন্যের কাছে নিজের স্ত্রীর চরিত্র সবসময় লুকিয়ে রাখা চাণক্যের নীতিকথার অন্যতম একটি। বুদ্ধিমান ব্যক্তি এমনটাই করেন। যারা নিজের স্ত্রীকে নিয়ে সবার সামনে চর্চা করেন, অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা এমন কিছু বলে ফেলেন, যা শোভনীয় নয়। যার পরিণতি ভয়ানক হতে পারে।
অবহেলিতদের থেকে অপমানিত হওয়ার কথা:
অবহেলিতদের থেকে অপমানিত হওয়ার কথা গোপন রাখুন। চাণক্য মনে করতেন, এই ঘটনার বহিঃপ্রকাশ যেকোনও ব্যক্তিকে হাস্যকর উপদানে পরিণত করতে পারে যা ওই ব্যক্তির গর্ববোধে আঘাত করবে, অহংকে আঘাত করবে।