মনের জোর বাড়ানোর চাবিকাঠি
সফল হতে চাইলেই তো আর সফল হওয়া যায় না। তবে সফল হতে গেলে যেটা সবার আগে প্রয়োজন। তা হল মানসিকভাবে শক্ত হওয়া। পরিস্থিতি যে সব সময় আপনার অনুকূল হবে তা কিন্তু নয়। পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূলেও যেতে পারে, এটা অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার। সেই কথা মাথায় রেখেই যে কোনও নতুন কাজ করা উচিত। তবে মানসিক ভাবে শক্ত হওয়ার জন্য নিজের মনকেই সবার আগে স্থির করতে হবে। কিন্তু অনেকেই মনের জোড় না বাড়িয়ে নিজের ভাগ্যকেই দোষারোপ করতে থাকেন। তবে ভাগ্যকে দোষারোপ না করে নিজের মনের জোড় বাড়াতে চেষ্টা করুন। এবার দেখে নিন কীভাবে নিজের মনের জোড় বাড়িয়ে সফলতাকে আপনার সঙ্গী করবেন...
ওয়েব ডেস্ক: সফল হতে চাইলেই তো আর সফল হওয়া যায় না। তবে সফল হতে গেলে যেটা সবার আগে প্রয়োজন। তা হল মানসিকভাবে শক্ত হওয়া। পরিস্থিতি যে সব সময় আপনার অনুকূল হবে তা কিন্তু নয়। পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূলেও যেতে পারে, এটা অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার। সেই কথা মাথায় রেখেই যে কোনও নতুন কাজ করা উচিত। তবে মানসিক ভাবে শক্ত হওয়ার জন্য নিজের মনকেই সবার আগে স্থির করতে হবে। কিন্তু অনেকেই মনের জোড় না বাড়িয়ে নিজের ভাগ্যকেই দোষারোপ করতে থাকেন। তবে ভাগ্যকে দোষারোপ না করে নিজের মনের জোড় বাড়াতে চেষ্টা করুন। এবার দেখে নিন কীভাবে নিজের মনের জোড় বাড়িয়ে সফলতাকে আপনার সঙ্গী করবেন...
১. নিজের প্রতি দুঃখিত না হওয়া
নিজের প্রতি কখনওই দুঃখিত বোধ করবেন না। নিজেকে আহারে বলার কোনও দরকার নেই এতে আপনার সময়ই নষ্ট হবে। আখেরে আপনার কোনও লাভ হবে না। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ান। কাজে দেবে।
২. লক্ষ্যে স্থির হওয়া
আপনার পাশে যদি কেউ না দাঁড়ায় তাহলে ভয় পাবেন না। নিজেই নিজের সব থেকে বড় লাঠি হয়ে দাঁড়ান। যদি কেু আপনার সঙ্গে চলতে না চায় তাহলে একলাই চলুন। সাফল্য পাওয়ার পর কারোর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে না।
৩. পরিবর্তনকে ভয় না পাওয়া
আপনার রোজকার জীবনে যদি কোনও পরিবর্তন ঘটে তাহলে ভয় পাবেন না। জানবেন সব পরিবর্তন আপনার প্রতি এক একটা চ্যালেঞ্জ। তাই ভয় না পেয়ে পরিবর্তনকে আপন করে নিন।
৪. তাদের না পারা কাজ না করা
ধরুন এমন কাজ যা আপনার ঠিক পছন্দ নয়। তাই আপনি ঠিক পারবেন না। এমনকি আপনার মনে কাজের প্রতি অতটা কনফিডেন্ট নেই। তখন সেই কাজ না করাই ভালো। যে কাজ আপনি মন থেকে ভালবাসেন সেই কাজ করুন।
৫. অন্যের কথার গুরুত্ব না দেওয়া
কে কি বলল তাতে আপনার কি! কারোর কথায় গুরুত্ব দেওয়া ছেড়ে দিন। নিজের জীবন কীভাবে কাটাবেন, কী কাজ করে ভালো থাকবেন তা একান্ত আপনার সিদ্ধান্ত। আপনার জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব অন্য কারোর হাতে কখনওই দেবেন না।
৬. ভাগ্যকে দোষারোপ না করা
কি হয়নি তা নিয়ে বেশি ভাবনা চিন্তা করার দরকার নেই। কি হতে পারে সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করুন। তাতে আপনার সময়ও বাঁচবে এবং নিজের মনোবলও বাড়বে।
৭. একই ভুল বার বার না করা
একই ভুল বার বার করার কোনও মানেই হয়না। বার বার একই ভুল করতে থাকলে আস্তে আস্তে নিজের মনোবল ভেঙে যাবে। তাই একই ভুল বারবার না করে ধীরে সুস্থে কাজ করুন।
৮. অন্যের খুশিতে খুশি না হওয়া
অন্যের খুশিতে খুশি হওয়ার চেষ্টা করুন। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখুন। দেখবেন আপনার সাফল্যতে এবং খারাপ সময় অনেকের সঙ্গ পাবেন। তবে যদি অন্যের খুশিতে খুশি না হন তাহলে আপনি ভেঙে পড়বেন।
৯. প্রথমবার সফল হতে না পেরে ভেঙে পড়া
যদি প্রথময়ার সফল হতে না পারেন, তাহলে আবার চেষ্টা করুন। দেখুন চেষ্টা না করলে কেউই কখনও সফল হতে পারে না। তাই প্রথমবার যদি কোনও ভাবে সফল হতে না পারেন তাহলে ভেঙে না পড়ে শক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ান।
১০. একাকীত্বকে ভয় না পাওয়া
আপনার সঙ্গে কেউ না থাকলেও একাকীত্বকে ভয় পাবেন না। যদি খারাপ সময় কেউ আপনার পাশে দাঁড়াতে না চায় তাহলে ক্ষতি কি। একাই পরিস্থিতির মোকাবিলা করুন। দেখবেন এতে আপনার মন যেভাবে শক্ত হবে তা কখনওই ভাঙা যাবে না।
১১. ধীর স্থিরভাবে কাজ করা
যখন পরিস্থিতি আপনার অনুকূল না হবে, তখন ধীর স্থিরভাবে কাজ করুন। তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে কিছুই হবে না। অনেক ভুল হয়ে যাবে। তাই পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূল হলে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করুন।
১২. কাজের পর নিজেকে জাহির না করা
আপনি আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকুন। যাতে কেউ না আপনাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারে। সফল হওয়ার পর নিজেকে জাহির করবেন না। কারণ নিজের ঢাক নিজে না পেটানোই ভালো। এতটা আপনার নিজের পক্ষেও খুব একটা ভালো হবে না।