উড়ন্ত বিমানের লেজ ছুঁলে মোটা পুরস্কার!
উড়ন্ত বিমান কখনও কেউ ছুঁতে পারে। জানি প্রশ্নটা শোনার পর নিশ্চয় ভাবছেন এ আবার কেমন কথা। এমনই এক চ্যালেঞ্জের বিজ্ঞাপন দিয়ে পর্যটক আকর্ষণ করে বাজিমাত করতে নেমেছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এক সমুদ্রসৈকতের কর্তৃপক্ষ।
ওয়েব ডেস্ক: উড়ন্ত বিমান কখনও কেউ ছুঁতে পারে। জানি প্রশ্নটা শোনার পর নিশ্চয় ভাবছেন এ আবার কেমন কথা। এমনই এক চ্যালেঞ্জের বিজ্ঞাপন দিয়ে পর্যটক আকর্ষণ করে বাজিমাত করতে নেমেছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এক সমুদ্রসৈকতের কর্তৃপক্ষ।
অবস্থানগতভাবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সেন্ট মার্টিনের 'সান সেট' নামের এই সমুদ্রসৈকতটি ভারী মজার। এই সমুদ্রসৈকতের ঠিক পাশেই প্রিন্সেস জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই সমুদ্রসৈকতের খুব কাছ দিয়ে বিমান ওঠা নামা করে। মানে প্রিন্সেস জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের একেবারে মুখেই এই সমুদ্রসৈকত। ফলে এই সমুদ্রসৈকতে স্নান বা সময় কাটাতে যাওয়া পর্যটকরা খুব কাছ থেকে বিমানের ওঠানামা দেখতে পান।
অবশ্য শুধু দেখতে পান বললে রকম বলা হবে, বলা ভাল বিমানের শ্বাসের শব্দ শুনতে বা অনুভব করতে পারেন। এই সমুদ্রসৈকতে ঘুরে আসা কেভিন নামের এক ব্রিটিশ পর্যটক এই নিযে নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিযে বলেন, ''বিচে শুয়ে থাকার সময় হঠাত্ একটা বিমান ওপর দিয়ে উঠে গেল, মনে হচ্ছিল বিমানটা একেবারে গায়ের ওপর উঠে আসবে। প্রথমটায় ভয়ও পেযে গিয়েছিলাম। পরে ব্যাপরটা দারুণ লাগল। কী সুন্দর ব্যাপার। মনে হচ্ছিল হাত বাড়ালেই বিমানটাকে ছুঁতে পারব। এত কাছ থেকে কোনও বিমান যেতে পারে সেটা না দেখলে বিশ্বাস করতে পারতাম না...'' একা কেভিন নন সেন্ট মার্টিনের এই সমুদ্রসৈকতের ঘুরতে আসা বহু পর্যটক এমন বিরল দৃশ্য দেখে মোহিত।
এই সুযোগে দেশের পর্যটক দপ্তর বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করেছে। উড়ন্ত বিমানের লেজ ছুঁলে মোটা পুরস্কার। তবে পুরস্কারের লোভে নয় এত সামনে থেকে বিমান মানে মানুষের উদ্ভাবনা আর সমুদ্রসৈকত মানে প্রকৃতির সৌন্দর্যের মেলবন্ধন দেখতে উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়।