যারা একা মরেছিল...

একা হয়ে যেতে ভয় পান সকলেই। মৃত্যির সময় কেউ থাকবে তো পাশে? এই আশঙ্কা আমাদের সকলেরই হয়। ফাঁকা বাড়িতে এক বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার মৃত্যু, বৃদ্ধ দম্পতির একসঙ্গে আত্মহত্যার খবরে শিউরে উঠি সকলেই। তবে এই ৬ জন মারা গিয়েছিলেন একাই। viralnova.com-এর পাতা থেকে তাদের গল্পোই শোনাবো আমরা।

Updated By: Nov 25, 2014, 03:46 PM IST
যারা একা মরেছিল...
Via: Oddee

ওয়েব ডেস্ক: একা হয়ে যেতে ভয় পান সকলেই। মৃত্যুর সময় কেউ থাকবে তো পাশে? এই আশঙ্কা আমাদের সকলেরই হয়। ফাঁকা বাড়িতে এক বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার মৃত্যু, বৃদ্ধ দম্পতির একসঙ্গে আত্মহত্যার খবরে শিউরে উঠি সকলেই। তবে এই ৬ জন মারা গিয়েছিলেন একাই। viralnova.com-এর পাতা থেকে তাদের গল্পোই শোনাবো আমরা।

১. সিমোন অ্যালেন- ইস্ট সাসেক্সের ব্রাইটনের বাসিন্দা সিমোন একাকিত্বে ভুগতেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে নিজের বাড়িতে মারা যান তিনি। দু'বছর পর ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। নিজের জীবনে এতটাই একা ছিলেন সিমোন যে এই দুই বছরে কেউ খোঁজ করেনি তাঁর। বহুমাস ভাড়া জমা না পড়ায় সিমোনের ঘরে আসেন বাড়ির মালিক। আর তখনই উদ্ধার হয় সিমোনের দেহ।

২. জেনেভা চেম্বারস- এতটাই একাসেরে ছিলেন চেম্বার যে প্রতিবেশীরা সঙ্গ দিতে চাইলেও তাদের ফিরিয়ে দিতেন তিনি। ২০১৩ সালের অগাস্ট মাসে তার ফ্লোরিডার বাড়ি থেকে এক ল্যান্ডস্কেপার উদ্ধার করে চেম্বারসের দেহ। পুলিসের ধারনা তার অন্তত ৩ বছর আগে মারা গিয়েছিলেন চেম্বারস। প্রতিবেশীরা ভাবতেন ২০০৯ সালেই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন চেম্বারস।

৩. হেডভিগা গলিক- সবথেকে ট্রাজিক বোধহয় হেডগিভা গলিকের মৃত্যু। ১৯৬৬ সালে ক্রোয়েশিয়ায় নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় গলিকের। এক কাপ চা বানিয়ে নিয়ে সাদা কালো টিভির সামনে সময় কাটাতে বসেছিলেন গলিক। দীর্ঘ ৪২ বছর পর উদ্ধার হয় গলিকের দেহ। পুলিস বাড়িতে ঢুকে চেয়ারে বসা অবস্থায় উদ্ধার করে গলিকের দেহ। সামনে রাখা ছিল এক কাপ চা।

৪. বারবারা সালিনাস নরম্যান- ২০১৩ সালের মে মাসে সালিনাসের মেক্সিকোর বাড়ি থেকে যখন তার দেহ উদ্ধার হয় তখন তা প্রায় মমিতে পরিনত হয়েছে। হঠাত্‍ই হারিয়ে যাওয়া সালিনাসকে খুঁজতে শুরু করেন সালিনাসের জামাইবাবু লুই পন্স। সালিনাসের মৃত্যুর এক বছরেরও বেশি সময় পর উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।
    
৫. ডেভিড কার্টার- মিলওয়াকি নুইসেন্স কন্ট্রোল অফিসার ছিলেন ডেভিড কার্টার। ২০০৭ সালে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। বলেন নিউ মেক্সিকো চলে যাচ্চেন তিনি। কিন্তু আসলে নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছিলেন কার্টার। চার বছর পর খালি বাড়ি ভেবে পরিদর্শনে আসেন রিয়াল এস্টেট এজেন্ট। সিঁড়িতে কার্টারের কঙ্কাল আবিষ্কার করেন তিনি।

৬. নাতালিয়ে উড- অসি মহিলা উডের মৃত্যু হয় ২০০৩ সালে। তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ২০১১ সালে। এই ৮ বছরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সময় মতো জমা পড়েছে পেনসন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার তাগিদ অনুভব করেনি পরিবারের কেউ। অবশেষে তাঁর দেহ উদ্ধার করে এক আত্মীয়। তিনি জানান ২০০৩ সালে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। তারপর থেকে কথা বন্ধ ছিল দুজনের।

 

 

.