২০০২ গুজরাত দাঙ্গা: জাকিয়া জাফরির আবেদনের ভিত্তিতে নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়া নিয়ে আজ রায় শোনাবে আদালত

লোকসভা নির্বাচনের আগে আজ নরেন্দ্র মোদীর সামনে অগ্নিপরীক্ষা। জাকিয়া জাফরির পিটিশনের ভিত্তিতে আজ তাঁর বিরুদ্ধে বন্ধ হওয়া গুজরাত দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলা পূণর্বার চালু হবে কী না, সেই সংক্রান্ত রায় দেবে আহমেদাবাদের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর আগে বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত ২০০২ গুজরাত দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে মোদী সহ ৫৯ জনকে ক্লিনচিট দিয়েছিল।

Updated By: Dec 26, 2013, 09:53 AM IST

লোকসভা নির্বাচনের আগে আজ নরেন্দ্র মোদীর সামনে অগ্নিপরীক্ষা। জাকিয়া জাফরির পিটিশনের ভিত্তিতে আজ তাঁর বিরুদ্ধে বন্ধ হওয়া গুজরাত দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলা পূণর্বার চালু হবে কী না, সেই সংক্রান্ত রায় দেবে আহমেদাবাদের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর আগে বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালত ২০০২ গুজরাত দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে মোদী সহ ৫৯ জনকে ক্লিনচিট দিয়েছিল।

ম্যাজিস্ট্রেট বিজে গানাত্রা অক্টোবরের ২৮ তারিখে এই সংক্রান্ত রায় ঘোষণা করবে বলে জানান। পরে তা পিছিয়ে ডিসেম্বরের ২ তারিখ ও আরও পিছিয়ে ২৬ ডিসেম্বর হয়।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই বিষয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

জাকিয়া জাফরির স্বামী কংগ্রেস সাংসদ এশান জাফরি ২০০২ গোধরা কাণ্ডের পর গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ডে নিহত ৬৯ জনের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। এই ঘটনার রেশ ধরে সারা গুজরাতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পরে। জাফরি এই ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে অভিযোগ করেন।

সুপ্রিমকোর্টের দ্বারা নিযুক্ত বিশেষ তদন্তকারী দল জাফরির অভিযোগের ভিত্তিতে মোদী ও অনান্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই দলের রিপোর্ট জানায় মোদী ও অনান্যদের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় জড়িত থাকার পর্যাপ্ত কোনও প্রমাণ নেই।

এই দল জানায় জাফরির অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ তারা পায়নি। কিন্তু জাফরির আইনজীবী অভিযোগ করেন অপরাধীদের আড়াল করার জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্যপ্রমাণগুলি অবহেলা করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় প্রায় ৩০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

.