সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সময় জেলে, তবুও মধ্যপ্রদেশে অভিযুক্ত ৩, প্রশ্নের মুখে তদন্ত
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, রবিবার রাম নবমী মিছিলে হামলায় জড়িতদের অবৈধভাবে বানানো বাড়ি ভেঙে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিস। প্রায় ৪৫টি বাড়ি ও দোকানের ওপর বুলডোজার চালিয়েছে সরকার। সোমবার প্রায় ১৬টি বাড়ি ও ২৯টি দোকান ভেঙে ফেলা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি জেলায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় তিন ব্যক্তির নামে অভিযোগ করা হয়েছে যারা আগে থেকেই জেলে রয়েছেন। একটি "খুনের চেষ্টার মামলায়" জেলের সাজাপ্রাপ্ত তিন ব্যক্তিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করেছে পুলিস। এরফলে দাঙ্গার ঘটনায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত মাসে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কারাগারে থাকা তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০ এপ্রিল বারওয়ানি জেলার সেন্ধওয়াতে একটি মোটরবাইকে আগুন দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। রাম নবমীতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সাক্ষী থাকা দুটি জেলার মধ্যে একটি এই সেন্ধওয়া।
যে থানায় তাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অভিযোগ করা হয়েছে সেখানেই তাদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার মামলা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগকারীর বক্তব্যের ভিত্তিতে এই মামলা করা হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার মনোহর সিং বলেছেন, "আমরা বিষয়টি তদন্ত করব এবং জেল সুপারের কাছ থেকে তথ্য নেব, অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।"
তিনজনের নাম শাহবাজ, ফকরু এবং রউফ। ৫ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যার চেষ্টার মামলায় তিনজনই কারাগারে রয়েছেন।
শাহবাজের মা সকিনা অভিযোগ করেছেন যে, সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরে তার বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে এবং তাকে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন "পুলিস এখানে এসেছিল, আমার ছেলে প্রায় দেড় মাস জেলে আছে। একটি সমস্যার পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কিন্তু পুলিস এসে আমাদের বের করে দিয়েছে। আমার ছেলে আগে থেকেই জেলে আছে তাই আমি জিজ্ঞাসা করি যে কেন তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে? আমরা পুলিসকে বলেছিলাম যে সে জেলে আছে কিন্তু কেউ আমাদের কথা শোনেনি। আমরা হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েছিলাম। তারা আমার ছোট ছেলেকেও ধরে নিয়ে গেছে।"
আরও পড়ুন: Minor Girl Molestation: বাড়িতে পড়তে ডেকে ছাত্রীর সঙ্গে 'অসভ্যতা', নাবালিকা মুখ খুলতেই...
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, রবিবার রাম নবমী মিছিলে হামলায় জড়িতদের অবৈধভাবে বানানো বাড়ি ভেঙে দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিস। প্রায় ৪৫টি বাড়ি ও দোকানের ওপর বুলডোজার চালিয়েছে সরকার। সোমবার প্রায় ১৬টি বাড়ি ও ২৯টি দোকান ভেঙে ফেলা হয়।
খারগোন এবং বারওয়ানিতে রাম নবমীর মিছিলে পাথর ছোড়ার পরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, এই হিংসার ঘটনায় ছয় পুলিকর্মী সহ অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন।