Bihar: ২৯ বছর পর ‘পুলিস হেফাজত’ থেকে হনুমান মূর্তি ফিরল মন্দিরে, রামনবমীর আগে খুশির হাওয়া
অষ্টধাতু (আটটি ধাতু দিয়ে তৈরি) মূর্তিটি ১৯৯৪ সাল থেকে ভোজপুর জেলার বারহারা ব্লকের কৃষ্ণগড় থানার মালখানায় (তদন্তের সময় পুলিশ জব্দ করা জিনিসপত্র রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা) পড়ে ছিল। ২৭ মার্চ আরা দেওয়ানি আদালতের আদেশে বুধবার মূর্তিগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
![Bihar: ২৯ বছর পর ‘পুলিস হেফাজত’ থেকে হনুমান মূর্তি ফিরল মন্দিরে, রামনবমীর আগে খুশির হাওয়া Bihar: ২৯ বছর পর ‘পুলিস হেফাজত’ থেকে হনুমান মূর্তি ফিরল মন্দিরে, রামনবমীর আগে খুশির হাওয়া](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/03/30/413573-ashtadhatu-idol.png)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভগবান হনুমানের একটি মূর্তি ২৯ বছর আগে চুরি হয়ে যায় এবং পরে পুলিস সেটি উদ্ধার করে। বিহারের ভোজপুর জেলার একটি থানা থেকে অবশেষে মুক্তি পেল সেই মূর্তি। রামনবমীর এক দিন আগে বুধবার মন্দিরে ফিরে আসে সেই মূর্তি। পুলিস এই খবর জানিয়েছে।
অষ্টধাতু (আটটি ধাতু দিয়ে তৈরি) মূর্তিটি ১৯৯৪ সাল থেকে ভোজপুর জেলার বারহারা ব্লকের কৃষ্ণগড় থানার মালখানায় (তদন্তের সময় পুলিশ জব্দ করা জিনিসপত্র রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা) পড়ে ছিল।
পুলিস জানায়, ২১ মে, ১৯৯৪ সালে গুন্ডি গ্রামের শ্রী রঙ্গনাথ মন্দির থেকে মূর্তিটি সহ অন্য একটি মূর্তি উধাও হয়ে যায়। তিন দিন পরে, ২৫ মে, ১৯৯৪ তারিখে নিকটবর্তী গ্রামের একটি কুয়ো থেকে দুটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকে তারা কৃষ্ণগড় থানায় রয়ে যায়।
গুন্ডি পঞ্চায়েতের মুখিয়া (গ্রাম প্রধান) কৃষ্ণ কুমার সিং বলেছেন, ‘যদিও এই মামলাটি প্রায় ১০ বছর আগে বিহার রাজ্য ধর্মীয় ট্রাস্ট বোর্ড এবং এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কিশোর কুনালের হস্তক্ষেপে নিষ্পত্তি করা হয়েছিল, তবুও কেউ দাবি করতে এগিয়ে না আসায় মূর্তিগুলি মালখানায় পড়ে ছিল। অবশেষে, মন্দিরের পুরোহিত এর দাবি করেন এবং একটি আদালত মুক্তির আদেশ জারি করে। আমরা আনন্দিত যে আমরা ২৯ বছর পর ভগবান হনুমানের মূর্তি থানা থেকে ছাড়াতে পেরেছি’।
আরও পড়ুন: ভারতের ছবি প্রকাশ করল ইসরো! নেটপাড়ায় লেখা হল, 'ভারত আরও উজ্জ্বল'
তিনি বলেন, ২৭ মার্চ আরা দেওয়ানি আদালতের আদেশে বুধবার মূর্তিগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কৃষ্ণগড় থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) ব্রজেশ সিং জানিয়েছেন, মূর্তিগুলি শ্রী রঙ্গনাথ মন্দিরের পুরোহিতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিমা গ্রহণের জন্য বিপুল সংখ্যক স্থানীয়রা জড়ো হয়েছিল’।