ভারতের ছবি প্রকাশ করল ইসরো! নেটপাড়ায় লেখা হল, 'ভারত আরও উজ্জ্বল'
সাম্প্রতিক অতীতে একের পর এক সাফল্য পেতে দেখা গিয়েছে ইসরোকে। এদিকে ফের চন্দ্র অভিযানের পরিকল্পনা করেছে ইসরো। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর জুন মাসে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩। এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন খোদ ইসরোর প্রধান ড. এস সোমনাথ। চন্দ্রযান-২ অভিযান সফল না হলেও আশাহত হয়নি ইসরো।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সুদূর মহাকাশ থেকে ভারতকে (India) কেমন দেখতে? সবাই সেই দুর্লভ ছবি দেখার অপেক্ষায় বসে থাকে। মহাকাশ থেকে তোলা সেই ছবি সম্প্রতি পোস্ট করেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গনাইজেশন (Indian Space Research Organisation)। সম্প্রতি ইসরো-র (ISRO) তরফ থেকে একটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। সেই উপগ্রহের নাম ছিল ইসরো ওসেনসেট-থ্রি (Isro Oceansat-3)। সেই উপগ্রহের মাধ্যমে ভারত ও এর আশেপাশের কয়েকটি ছবি তুলে ধরা হয়েছে। সেই ছবিতে মানববসতির একটা স্পষ্ট রূপরেখা ফুটে উঠেছে। আর তা দেখে নেটিজেনরা লেখেন, জ্বলজ্বল করছে ভারত।
ইসরোর এই ছবি সামনে আসতেই নেটিজেনরা বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেছেন। রাতের ভারতের স্যাটেলাইট ছবিকে উল্লেখ করা হয় 'নাইট লাইট' হিসেবে। এই 'নাইট লাইট' ২৫ বছর ধরে জনসাধারণের কৌতুহলের কারণ এবং মৌলিক গবেষণার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ইসরো সম্প্রতি যে ছবিটি পোস্ট করেছে তাতে দেখা গিয়েছে, কীভাবে মানুষ পৃথিবীতে বসতি গড়ে তুলছে। সেখানে রাতের আলোয় পৃথিবীকে কেমন দেখায়, সেটা ফুটে উঠেছে।
ছবিতে ধরা পড়েছে গোটা ভারত। ২৯ মার্চ এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানীদের দাবি, গত ২৫ বছরের তুলনায় এবার সবচেয়ে পরিষ্কার ছবি পাওয়া গিয়েছে। ইসরোর আরও দাবি, এই ছবি ও ডেটা ব্যবহার করে আমরা গবেষণা চালানো যাবে। বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাতের কারণে সৃষ্ট স্বল্পমেয়াদী পরিবর্তনগুলি এই ডেটা ব্যবহার করে জানতে পারি। ঝড়, ভূমিকম্পও নিরীক্ষণ করা যায় এই স্যাটেলাইট ছবির ডেটা থেকে। কারণ ইসরোর মতে এই ভারত যে আরও উজ্জ্বল।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংগীত অবমাননা মামলা, মমতাকে কোনও ছাড় দিতে নারাজ হাইকোর্ট!
আরও পড়ুন: ৪ শাবকের জন্ম দিল নামিবিয়ান চিতা, কুনো ন্যাশনাল পার্কে খুশির হাওয়া
— ISRO (@isro) March 29, 2023
এদিকে কয়েক দিন আগে একসঙ্গে ৩৬টি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছিল ইসরো। গত রবিবার অর্থাৎ ২৬ মার্চ ফের একসঙ্গে ৩৬টি উপগ্রহকে মহাকাশে প্রেরণ করেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তৈরি হয়েছিল নয়া নজির। সকাল ৯টায় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এলভিএম-থ্রি রকেট। ওই রকেটই মহাশূন্যে পৌঁছে দিয়েছিল উপগ্রহগুলিকে।
এলভিএম-থ্রি রকেটের দৈর্ঘ্য ৪৩.৫ মিটার। ওজন ৬৪৩ টন। রকেটটি তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। তার বয়ে নিয়ে যাওয়া এই ৩৬টি উপগ্রহ মার্কিন মুলুকের ওয়ানওয়েবের। ভারতের ভারতী এন্টারপ্রাইজ এই সংস্থার এক প্রধান বিনিয়োগকারী ও শেয়ারহোল্ডার। ১৫০ কেজির উপগ্রহগুলি ১২টি বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিটি বিমানের সঙ্গে অন্যটির পার্থক্য ৪ কিমি। কোনওভাবেই বিমানগুলির মধ্যে যাতে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই পরিকল্পনা।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)