রেইনকোট ভেবে পিপিই কিট চুরি! চোরের পরিণতি হল মারাত্মক
ভেবেছিলেন ওটা রেনকোট। তাই হাসপাতালের এক কোণে পড়ে থাকা পিপিই কিট তুলে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন- নিজে যেচে বিপদ ডেকে এনেছেন তিনি। তাঁর জীবনে এমন মহাবিপদ এমনি আসেনি। তাঁর একটা ভুলের জন্য এবার তাঁকে বড়সড় মাশুল গুণতে হবে। চুরি করার অপরাধে এমন শাস্তি পাবেন বলে তিনি হয়তো স্বপ্নেও ভাবেননি। কর্মফলের শাস্তি পেলেন হাতেনাতে। রেইনকোট ভেবে পিপিই কিট চুরি করে এবার মহাবিপদে নাগপুরের এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় ফল বিক্রেতা। গত বুধবার সেই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চোট গুরুতর না হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। বাড়ি ফেরার সময় হাসপাতাল থেকে একটি পিপিই কিট চুরি করে আনেন ওই ব্যক্তি। ডেকে আনেন মহাবিপদ।
ভেবেছিলেন ওটা রেনকোট। তাই হাসপাতালের এক কোণে পড়ে থাকা পিপিই কিট তুলে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। সেই পিপিই কিটের দাবিদার কাছাকাছি কেউ ছিল না। সেই সুযোগে তিনি সেট রেইনকোট ভেবে তুলে নেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকজন খবর পেয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই ফল বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর থেকে সেই পিপিই কিট নিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেই ব্যক্তি স্বীকার করে নেন যে তিনি ওই পিপিই কিট চুরি করেছিলেন। এর পর সেই ব্যক্তির করোনা টেস্ট করা হয়। রিপোর্ট আসে পজিটিভ। মাথায় হাত পড়ে যায় ওই ব্যক্তির। করোনার এই আবহে প্রতিটি পদক্ষেপ বুঝেশুনে না ফেললে কী যে বিপদ হতে পারে তা ওই ব্যক্তি টের পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- মহিলা কর্মীদের শৌচালয় পরিষ্কার হয় না! অভিযোগ পেয়ে ঝাঁটা হাতে নামলেন খোদ মন্ত্রী
ওই ফল বিক্রেতার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদেরও করোনা টেস্ট করানো হয়। কিন্তু কেউ পজিটিভ হননি। মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। মহারাষ্ট্র এখন করোনার এপিসেন্টার। ১৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ইতিমধ্যে।