ধরা পড়ে প্রমাণ গিলে ফেলেছিলেন অভিনন্দন, কাশ্মীরিদের উপরে চালাননি গুলি
দেশ রক্ষায় প্রমাণ গিলে ফেলেছিলেন অভিনন্দন।
কমলিকা সেনগুপ্ত
সিন্ধুর দুই তীরে আজ একটাই নাম- অভিনন্দন। একটাই অনুভূতি- অভিনন্দন। আজ ভারত তো বটেই, পাকিস্তানেও রীতিমতো হিরো ভারতীয় উইং কমান্ডার। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ধরা পড়ার পরেও ঠান্ডা মাথায় নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন ভারতের বীর।
সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট। পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করে ভারতীয় বায়ুসেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভীমবেড় জেলার হোরান গ্রাম লড়াই চলছিল পাক এফ-১৬-এর সঙ্গে ভারতের মিগ-২১ ও মিরাজের।
মহাভারতের অভিমন্যুর মতো পাকিস্তানি এফ-১৬-এর চক্রবূহ্যে আটকে গিয়েছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তাঁর বিমানে হঠাত্ আগুন লেগে যায়। আর ফিরতে পারেননি অভিনন্দন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরেই ভেঙে পড়ে তাঁর বিমান। প্যারাস্যুটের ভরসায় বেঁচে যান অভিনন্দন। কিন্তু কোন পারে অবতরণ করেছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞেস করেন, তিনি ভারতে রয়েছেন না পাকিস্তানে। স্থানীয়রা জবাব দেন, তিনি ভারতেই রয়েছেন। পাইলট তখন বুদ্ধি করে ভারতের জয়ধ্বনি করে স্লোগান দেন। আর এতেই রেগে গিয়ে পাকিস্তানের জয়ধ্বনি করে ওঠে স্থানীয় এক দল যুবক। পরিস্থিতি বুঝে শূন্যে গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন পাইলট। পাথর ছুড়তে ছুড়তে পাইলটকে তাড়া করে স্থানীয় যুবকরা। এরপরেই জলাভূমিতে ঝাঁপ দেন অভিনন্দন। পকেট থেকে নথি ও নকশা বের করে মুখে পুড়ে নেন।
আরও পড়ুন- বেরিয়ে এল সত্য, আজহারের ডেরায় এয়ার স্ট্রাইকের স্বীকারোক্তি পাক রেলমন্ত্রীর
স্থানীয় এক যুবক ওই পাইলটের পায়ে গুলি করে। কোণঠাসা অবস্থাতেও অভিনন্দন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোনও নাগরিককে গুলি করেননি। কারণ তাঁরা আমাদেরই নাগরিক। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের দখলে থাকা এলাকায় এসে পড়েছেন জেনে, ঠান্ডা মাথায় নিজের হাতে থাকা নথিপত্র নষ্ট করে দিয়েছেন। আবার শত্রুকে কোনও তথ্যও দেননি। তাঁর এই উপস্থিত বুদ্ধির তারিফ না করে পারছেন না পাকিস্তানিরাও। তাঁর এই লড়াইকে কুর্নিশ।