‘এপি’ আসলে কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল, চপার দুর্নীতির চার্জশিটে দাবি ইডি-র
ইডি জানিয়েছে ওই দুর্নীতিতে অন্তত ১২ শতাংশ কমিশন হিসেবে দেওয়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা ভোটের মুখে বিপদ বাড়তে পারে কংগ্রেসের।
ভিভিআইপি চপার কেনাবেচায় মধ্যস্থতাকারী ক্রিশ্চিয়াম মিশেল ‘এপি’ নামে একজনকে চিহ্নিত করেছে। ওই কপ্টার কেনাবেচায় যারা কমিশন পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছে এই ‘এপি’। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এমনটাই দাবি করেছে ইডি।
আরও পড়ুন-ক্ষমতায় ফিরলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে করের হার কম করবে এনডিএ সরকার: জেটলি
কে এই ‘এপি’! সংবাদমাধ্যমের খবর, এই ‘এপি’ হলেন সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা আহমেদ প্যাটেল। ওই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কোম্পানির ১২টি চপার কেনার সময় কমিশন গিয়েছে বায়ুসেনার একাধিক আধিকারিক, কূটনীতিক, সংবাদমাধ্যমের লোকজন ও রাজনীতিবিদদের ঘরে। ওই ১২টি চপার কিনতে খরচ হয় ৩৬০০ কোটি টাকা। এর একটা মোটা অঙ্ক কমিশন হিসেবে দেওয়া হয়।
এদিকে, ভিভিআইপি চাপার দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজীব সাক্সেনা নামে একজনকে। ইডি-র চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে রাজীব সাক্সেনাও জানিয়েছেন এপি হলেন, আহমেদ প্যাটেল।
আরও পড়ুন-গতবারের মতো এবারও ৭ এপ্রিলই ইস্তেহার প্রকাশ করতে চলেছে বিজেপি!
ইডি জানিয়েছে ওই দুর্নীতিতে অন্তত ১২ শতাংশ কমিশন হিসেবে দেওয়া হয়েছে। অর্থাত্ কমিশন দেওয়া হয়েছে ৪৩২ কোটি টাকা। ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল ক্রিশ্চিয়াম মিশেল ও গুইডো হ্যাসচেক নামে দুই দালালের মাধ্যমে। ২০১৬ সালের জুনে ইডি তার প্রথম চার্জশিটে অবশ্য ইডি জানিয়েছিল ভিভিআইপি চপার কেনাবেচায় ২২৫ কোটি টাকা কমিশন হিসেবে দেওয়া হয়েছে।