ঐশীর নেতৃত্বে বামপন্থী ছাত্ররাই হস্টেলে হামলা চালায়, প্রমাণ দিল দিল্লি পুলিস
১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। তাতে বাধা দেয় চারটি বাম সংগঠন SFI,AISF, AISA ও DSF।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জেএনইউ-তে ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের নেতৃত্বে হস্টেলে হামলা চালিয়েছিল বামপন্থী ছাত্ররা। তদন্তের পর ছবি প্রকাশ করে জানিয়ে দিল দিল্লি পুলিস। দিল্লি পুলিসের ডিসিপি (অপরাধ) জয় টিরকে জানান, ৫ জানুয়ারি দুপুর ৩.৪৭ মিনিটে পেরিয়ার হস্টেলে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। তাদের মধ্যে ছিলেন JNUSU সভানেত্রী ঐশীও।
ডিসিপি আরও জানান, ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। তাতে বাধা দেয় চারটি বাম সংগঠন SFI,AISF, AISA ও DSF। সার্ভাররুমে চালানো হয় ভাঙচুর। এমনতি যে ছাত্ররা রেজিস্ট্রেশন করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছিল।
Watch: @JNUSUofficial president Aishee Ghosh is seen with masked men inside JNU. pic.twitter.com/ok2jxiEHWU
— Piyush Mishra (@Piyush_mi) January 6, 2020
মুখোশধারী ছাত্রছাত্রীদের সনাক্তও করেছে দিল্লি পুলিস। হামলার সময় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খোলা হয়েছিল। এদিন কয়েকজনের নামপ্রকাশ করে দিল্লি পুলিস। বেশিরভাগই বামপন্থী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, চুনচুন কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, ঐশী ঘোষ, ভাস্কর বিজয়, সুচেতা তালুকদার, প্রিয়া রঞ্জন, দোলন সাবন্ত, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ ও বিকাশ পটেল। এর মধ্যে ঐশী ঘোষ জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভানেত্রী। যোগেন্দ্র ভারদ্বাজ ও বিকাশ পটেল এবিভিপি-র সদস্য বলে জানা গিয়েছে। ডিসিপি আরও জানান, ৫ জানুয়ারি দুপুর ৩.৪৭ মিনিটে পেরিয়ার হস্টেলে হামলা চালায় একদল মুখোশধারী। তাদের মধ্যে ছিলেন JNUSU সভানেত্রী ঐশীও।
Dr. Joy Tirkey, DCP/Crime, Delhi Police on #JNUViolence: No suspect has been detained till now, but we will begin to interrogate the suspects soon. pic.twitter.com/WtpqVvx1nb
— ANI (@ANI) January 10, 2020
৫ জানুয়ারি সন্ধেয় জেএনইউ ক্যাম্পাসে হামলায় চালায় একদল মুখোশধারী দুষ্কৃতীর। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ ৩৬ জন পড়ুয়া ও অধ্যাপক। এদিন ডিসিপি জানান, ১ থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া নিয়ে বেঁধেছিল ঝামেলা। বিশাল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা রেজিস্ট্রেশন করাতে চাইছিলেন। কিন্তু তাঁদের বাধা দেয় SFI,AISF, AISA ও DSF। ভয় দেখানোও হয়েছিল।
Dr Joy Tirkey, DCP/Crime: JNU administration decided to go for online registration of students from Jan 1-5. JNU Students' Union including Students Front of India,All India Students Federation,All India Students Association&Democratic Students Federation were against it. pic.twitter.com/Ep9x7Bka0H
— ANI (@ANI) January 10, 2020
দিল্লি পুলিসের মুখপাত্র তার আগে জানান, জেএনইউ-তে হিংসার তদন্ত করছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গোটা ঘটনায় একাধিক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। ৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে হিংসার ঘটনায় এবিভিপি-কে কাঠগড়ায় তুলেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি।