২২ নয়, বাংলায় লোকসভা আসন জয়ের টার্গেট আরও বাড়িয়ে দিলেন অমিত
প্রথমে ছিল মিশন ২২। পুরুলিয়ার সভায় সেটাই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি করে দিয়েছিলেন, ২৩। এবার জি নিউজে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে অমিত শাহ দাবি করলেন, বাংলায় এবার ২৩টিরও বেশি আসন পাবে বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথমে ছিল মিশন ২২। পুরুলিয়ার সভায় সেটাই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি করে দিয়েছিলেন, ২৩। এবার জি নিউজে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে অমিত শাহ দাবি করলেন, বাংলায় এবার ২৩টিরও বেশি আসন পাবে বিজেপি।
বিরোধীরা মহাজোটের সলতে পাকাচ্ছে। তার উপরে রয়েছে পাঁচ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া। বিজেপি কি গতবারের ফল ধরে রাখতে পারবে? সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে কী হবে? জি নিউজের এডিটর ইন চিফ সুধীর চৌধুরীর প্রশ্নবাণের মুখে অমিত শাহের জবাব,''সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কোনও কারণ নেই। পাঁচবছরের কাজ দেখিয়েই ভোট চাইবে বিজেপি। সাড়ে পাঁচ কোটি ঘরে পৌঁছে গিয়েছে বিনামূল্যের গ্যাস সিলিন্ডার। প্রায় ২ কোটি ঘর দেওয়া হয়েছে। ১৯ হাজার গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুত্''। অমিতের সংযোজন, ''সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া কথা ভাবনাতেই আনছি না। পশ্চিমবঙ্গেই ২৩টির বেশি আসন জিতব''। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাজোটের তদ্বির নিয়ে অমিতের খোঁচা,''ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরা নন, সাধারণ মানুষই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন''।
অমিত শাহ বলেন,''সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সাধারণ মানুষই ক্ষমতায় দেখতে চান''। কিন্তু যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার আগেই থমকে যায় বিজেপি? অমিতের আত্মবিশ্বাসী জবাব,''এটা হতেই পারে না। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা, এমনকি গতবারের চেয়ে বেশি আসন পেয়েই ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি''।
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের ফল কী হতে চলেছে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে রাজনীতিবিদদের। তবে দলের মধ্যে অন্তর্কলহের জেরে রাজস্থান হাতছাড়া হতে পারে বলে মনে করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজস্থানও বিজেপির হস্তগত বলে দাবি করলেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, আমাদের কোনও হাইকম্যান্ড নেই। সব কর্মীরাই সিদ্ধান্ত নেন। কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড রয়েছে। আমার সঙ্গে বসুন্ধরা রাজের খুব ভাল সম্পর্ক। একজনের জন্য দল জেতে না। খুব পরিশ্রম করছেন বসুন্ধরা। রাজস্থানের ক্ষমতার ফেরার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে অমিত শাহ বলেন,''২০১৯ সালে জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি। ফলে অধ্যাদেশের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই''। বিজেপির ইস্তাহারে রাম মন্দির নির্মাণের কথা উল্লেখ রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাম মন্দির নিয়ে রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। অমিতের জবাব, রাম মন্দির নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসার প্রশ্নই নেই। তাঁর আশ্বাস, একটা ইট নয়, গোটা মন্দির তৈরি করব। একইসঙ্গে কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন অমিত শাহ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির অভিযোগ, রাম মন্দির মামলায় জট পাকাচ্ছেন কপিল সিব্বল। সুপ্রিম কোর্টে তিনি জানিয়েছেন, লোকসভার আগে মামবাপ নিষ্পত্তি করা উচিত নয়। এর থেকে স্পষ্ট, রাম মন্দির মামলার শুনানি পিছিয়ে দিতে চায় কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রের ছাড়পত্র মেলার পর আসছে সস্তার চার চাকা, লিটারে ৩৬ কিলোমিটার মাইলেজ