মোদীর থেকে ভালো প্রধানমন্ত্রী হতেন অমিতাভ বচ্চন, দাবি প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী নরেন্দ্র মোদীকে ‘সবচেয়ে বড় অভিনেতা’ তকমা দেন।
![মোদীর থেকে ভালো প্রধানমন্ত্রী হতেন অমিতাভ বচ্চন, দাবি প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মোদীর থেকে ভালো প্রধানমন্ত্রী হতেন অমিতাভ বচ্চন, দাবি প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/05/17/193168-priyanka-g-n-modi.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারপর্ব শেষ। রবিবার শেষ দফার নির্বাচন। তার পর আগামী বৃহস্পতিবার স্পষ্ট হবে আগামী পাঁচবছর কাদের হাতে থাকবে কেন্দ্রের ক্ষমতা। কে হবেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
যদিও দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। বিজেপির দাবি, তারা ফের সরকার গড়বে। আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের তরফে অবশ্য এখনও কোনও নাম আসেনি। বিরোধীরা সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতিতে চলে এলে, কে হবেন প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়েই জল্পনা বেশি চলছে।
আরও পড়ুন: দারুণ সাংবাদিক বৈঠক করেছেন মোদীজি, খুব ভাল হয়েছে, ব্যাজস্তুতি রাহুলের
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষলগ্নে সেই জল্পনাকে একেবারে অন্যমাত্রা দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি টেনে আনলেন অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের নাম। প্রিয়ঙ্কার কথায়, অমিতাভ বচ্চনও মোদীর থেকে ভালো প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মিরজাপুরে রোড শো করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর দিদি প্রিয়ঙ্কা। সেই রোড শোয়ের কর্মসূচি থেকেই তিনি তোপ দাগেন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে। মোদীকে তিনি ‘সবচেয়ে বড় অভিনেতা’ তকমা দেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী, প্রশ্ন ছুঁড়লেন রাহুল গান্ধী!
তিনি বলেন, “আপনারা ভেবে দেখুন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অভিনেতাকে আপনারা প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। এর থেকে অমিতাভ বচ্চনকেই প্রধানমন্ত্রী করতেন। আপনাদের জন্য কেউ তো কিছু করতই না!”
প্রসঙ্গত, বচ্চন পরিবারের সঙ্গে রাজনীতির যোগ রয়েছে। অমিতাভের স্ত্রী অভিনেত্রী জয়া বচ্চন সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ। আর অমিতাভের নিজেরও রাজনৈতিক অতীত রয়েছে। ১৯৮৪ সালে তিনি উত্তরপ্রদেশের এলাহবাদ কেন্দ্র থেকে লোকসভার নির্বাচনে লড়েছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রজ্ঞাকে কখনই ক্ষমা করতে পারব না, সাফ জানালেন মোদী
সেবার তিনি সাংসদও হয়েছিলেন। তবে তিন বছর পর তিনি ইস্তফা দেন। তাঁর বিরুদ্ধে বোফর্স কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসেন। পরে আদালতেও তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।