অরুণ গাউলি সহ ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

শিবসেনার কামলাকর জামসনদেকার হত্যাকাণ্ডে প্রত্যাশিত ভাবেই অরুণ গাউলি সহ ১০জন কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল এমসিওসিএ কোর্ট। চার বছর আগে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই শিবসেনার সদস্যকে খুন করে গাউলি। যাবজ্জীবনের সঙ্গেই গাউলির সাত লক্ষ টাকার জরিমানাও ধার্য করেছে আদালত। অনাদায়ে কারাদণ্ডের মেয়াদ আরও বাড়বে বলেও রায় দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ এমসিওসিএ আদালতের বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চৌহান এই নির্দেশ দেন।

Updated By: Aug 31, 2012, 02:52 PM IST

শিবসেনার কামলাকর জামসনদেকার হত্যাকাণ্ডে প্রত্যাশিত ভাবেই অরুণ গাউলি সহ ১০জন কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল এমসিওসিএ কোর্ট। চার বছর আগে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই শিবসেনার সদস্যকে খুন করে গাউলি। যাবজ্জীবনের সঙ্গেই গাউলির সাত লক্ষ টাকার জরিমানাও ধার্য করেছে আদালত। অনাদায়ে কারাদণ্ডের মেয়াদ আরও বাড়বে বলেও রায় দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ এমসিওসিএ আদালতের বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চৌহান এই নির্দেশ দেন।
গত সপ্তাহেই গাউলি সহ বাকি ১১জন এই হত্যাকাণ্ডে দোষী সব্যস্ত হয়। ২০০৮-এ এই ঘটনার কিছুদিন আগেই রাজনীতির ময়দানে যোগ দিয়েছিল গাউলি। জামসনদেকার খুনে মোট ১২জনকে দোষী হিসাবে চিহ্নিত করা হলেও এদের মধ্যে একমাত্র সুনিল ঘাটের ৩ বছরের সাজা হয়েছে। বাকি ১১জনই যাবজ্জীবন হাজতবাসের নির্দেশ পেয়েছে। এই প্রথম ভারতে গাউলির মতো এরকম একজন প্রথমসারির মাফিয়া নেতা সাজা পেতে চলেছে।
২০০৮-এর মার্চ মাসে মুম্বইর কাছে ঘাটকোপারে নিজের বাড়ীতেই খুন হন জামসনদেকার। ওই বছরেরই ২১ মে গ্রেফতার করা হয় গাউলি সহ মোট ১৬ জনকে। চারজনকে পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও ১২ জনের বিরুদ্ধে ২০১০-এর অক্টোবর থেকে মামলা শুরু হয়।
সাজা ঘোষনার পূর্ববর্তী শুনানিতে বিচারক চৌহান প্রকাশ্য আদালতে গাউলিকে সংঘটিত অপরাধ সিণ্ডিকেটের মেম্বার হিসাবে চিহ্নিত করেন। ঠাণ্ডা মাথায় সংঘটিতভাবে শিবসেনা সদস্যকে খুন করার অপরাধে মুম্বাই পুলিসের তরফ থেকে গাউলির ফাঁসির দাবী করা হয়ে ছিল । জামসনদেকার খুনের মামলা ছাড়াও আরও কমবেশি ৪৯টি মামলায় বিচারাধীন গাউলি। তার মধ্যে বেশ কিছু খুনের মামলাও রয়েছে।

২০০৭-এর ৭ অক্টোবর, এই বিশেষ আদালতে গাউলি সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩০২, ৩৪, ১২০বি ধারায় মহারাষ্টের সংগঠিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ আইন বা এমসিওসিএ-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিসের অনুমান সাহেবরাও ভিন্দে আর বালা সার্ভে নামের দু`জন গাউলির গ্যাংকে জামসনদেকারকে খুন করার জন্য `সুপারি` দেয়। এরা দু`জনেই ঠিকাদারি ব্যাবসাসহ স্থানীয় রাজনীতিতে জামসনদেকারের প্রতিদন্ধী বলে পরিচিত ছিলেন। মুম্বই শহরতলীর সাকি নাকা অঞ্চলে একটি জমি দখল করতে চান ভিন্দে এবং সার্ভের। এই বিষয়ে সাহায্য চাইলে জামসনদেকার তাদের কোন রকম সাহায্য করতে অস্বীকার করেন। সেই ক্ষোভ বসত তাঁরা জামসনদেকারকে খুন করার পরিকল্পনা করেন বলে পুলিসের সন্দেহ।

.