নোটবন্দির বৃহত্তর লক্ষ্য কী ছিল? রাহুলকে বিঁধে জানালেন জেটলি
বিমুদ্রাকরণের পর বাতিল নোটের ৯৯.৩ শতাংশই ফিরে এসেছে ব্যাঙ্কের ঘরে, বলছে আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নোটবন্দির পদক্ষেপ লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি, বিরোধীদের এহেন অভিযোগ খণ্ডন করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেন, পুরনো নোটের সবটাই ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ফিরে এসেছে। এতে আরও অর্থনীতি সুদৃঢ় হয়েছে। বেড়েছে কর আদায় ও আর্থিক বৃদ্ধি।
ফেসবুক পোস্টে অরুণ জেটলি বলেন, ''টাকা ফেরত না আসাই কি নোটবন্দির একমাত্র লক্ষ্য ছিল? একেবারেই নয়। কর ফাঁকির ব্যবস্থা থেকে করযুক্ত সমাজ তৈরিই ছিল নোট বাতিলের বৃহত্তর লক্ষ্য''।
বিমুদ্রাকরণের পর বাতিল নোটের ৯৯.৩ শতাংশই ফিরে এসেছে ব্যাঙ্কের ঘরে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই রিপোর্ট প্রকাশ করতেই এদিন মাঠে নেমে পড়েন রাহুল গান্ধী। আকবর রোডে সাংবাদিক বৈঠকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রীকে। লোকসভা ভোটের আগে আরও একবার মানুষের মনে নোট বাতিলের স্মৃতি উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বলেন,''নোটবন্দি একটা বড় দুর্নীতি ছাড়া কিছুই নয়। আস্তে আস্তে প্রমাণ প্রকাশ্যে আসছে''। মোদীর সঙ্গে শিল্পপতিদের সখ্যতার প্রসঙ্গ তুলে রাহুলের অভিযোগ, ২৫-২০জন শিল্পপতি বন্ধুদের জন্য নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নোট বাতিলের সুযোগে কালো টাকা বদল করে নিয়েছেন ওনার বন্ধুরা। প্রধানমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখন আর্থিক ব্যবস্থায় ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট মিলিয়ে অর্থমূল্য ছিল ১৫.৪১ লক্ষ কোটি। রবিআইয়ের পরিসংখ্যান বলছে, তার মধ্যে ১৫.৩১ লক্ষ কোটি অর্থমূল্যের নোটই ফেরত এসেছে। অর্থাত্ ১০,৭২০ কোটি অর্থমূল্যের নোট ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বাইরে চলে গিয়েছে।
নোট বাতিলের পর নতুন নোট ছাপাতে বিশাল টাকা খরচ হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। পুরনো নোটের জায়গায় নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট চালু করা হয়। বিমুদ্রাকরণের পর ২০১৬-১৭ সালে নতুন ৫০০, ২০০০ টাকা ও অন্যান্য অঙ্কের নোট ছাপাতে ৭,৯৬৫ কোটি টাকা খরচ করেছে আরবিআই। তার আগের অর্থবর্ষে খরচ হয়েছিল ৩,৪২১ কোটি টাকা। অর্থাত্ নোট বাতিলের পর দ্বিগুণ খরচ করেছে আরবিআই। ২০১৭-১৮ (জুলাই,২০১৭-জুন,২০১৮) নোট ছাপাতে খরচ পড়েছে ৪,৯১২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- ক্ষমতায় ফিরতে এই ২০৮টি আসনে নজর মোদীর, জেনে নিন কী সমীকরণ?