আধার নিয়ে সুপ্রিম রায় ‘ঐতিহাসিক’ বললেন জেটলি
জেটলির মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন, টেকনোলজিকে কেউ অবজ্ঞা করছে না। এই প্রযুক্তি তো ইউপিএ সরকারের আমলেই তৈরি হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: আধার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে বিজেপির গালে চপেটাঘাত বলে কংগ্রেস কটাক্ষ করলেও মানতে নারাজ মোদী সরকার। তারা এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলেই অ্যাখ্যা দিতে চায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাংবাদিকদের জানান, আধার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ‘ঐতিহাসিক’। উল্লেখ্য, বুধবার শীর্ষ আদালত সাংবিধানিক বৈধতা দেয় আধারকে। তবে, আধারের কার্যকারিতে বিষয়ে বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিধি নিষেধের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন- আধার সাংবিধানকভাবে বৈধ, বেসরকারি ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়: সুপ্রিম কোর্ট
আধারের বিধি নিষিধের নির্দেশে বেশি আমল না দিয়ে বিজেপি জানায়, বিচার বিভাগীয় পর্যবেক্ষণের পর আধারকে সুপ্রিম কোর্ট যে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছে, তা ঐতিহাসিক। বিরোধীদের কটাক্ষ করে অরুণ জেটলি বলেন, যারা আধার নিয়ে সমালোচনা করছে, তাদের জানা উচিত টেকনোলজিকে অবজ্ঞা করার জায়গা নেই। সরকারি পরিষেবা সহজেই পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর ৯০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে সরকারের। জেটিল যুক্তি দিয়েছেন, ১২২ কোটি মানুষের আধার রয়েছে। ফলে কোনও জালি বা অস্তিত্ব নেই এমন নাগরিক সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জেটলির মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন, টেকনোলজিকে কেউ অবজ্ঞা করছে না। এই প্রযুক্তি তো ইউপিএ সরকারের আমলেই তৈরি হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কয়েক মিনিটের মধ্যে কংগ্রেস টুইট করে জানায়, আধার আইনের ৫৭ ধারাকে খারিজ করে দেওয়ায়, আধার তথ্য চাইবার ক্ষমতা হারাল বেসরকারি সংস্থাগুলি। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, আধার আইনের ৫৭ ধারাকে খারিজ করার সিদ্ধান্ত আদতে বিজেপির গালে 'সপাটে চড়'। তাঁর মতে, 'শিশুর স্নানের জল নোংরা করছিল বিজেপি এবং মোদী'। তাদের উত্খাত করে শিশুকে রক্ষা করল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টের আধার রায়ে বিজেপির গালে সপাট চড়: কংগ্রেস
উল্লেখ্য, আজ আধারকে সাংবিধানিক বৈধতা দেয় প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র-সহ পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। তবে, আধারের প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে শীর্ষ আদালত। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, মোবাইল সংযুক্তিকরণ, স্কুল কলেজে ভর্তি-র মতো একাধিক বিষয়ে আধার বাধ্যতামূলক নয় বলে জানানো হয় এদিন। এমনকি নাগরিকের থেকে আধার তথ্য চাওয়ার অধিকার নেই কোনও বেসরকারি সংস্থার, এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শরণার্থীরা যাতে কোনও মতেই আধার না পায়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।