কালভার্ট পেরোরেতই এলোপাথাড়ি গুলি, Zee ২৪ ঘণ্টায় প্রথম মুখ খুললেন অসম হত্যাকাণ্ডের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী

অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধেতেও বিছনিমুখ গ্রামে কালভার্ট লাগোয়া একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন ৬ জন বন্ধু। তখনই জলপাই পোশাক পরে আসে কয়েকজন। জানায়, দরকারি কথা আছে। তাই কালভার্টের নীচ দিয়ে যেতে হবে অপর পারে।

Updated By: Nov 2, 2018, 12:17 PM IST
কালভার্ট পেরোরেতই এলোপাথাড়ি গুলি, Zee ২৪ ঘণ্টায় প্রথম মুখ খুললেন অসম হত্যাকাণ্ডের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী

কমলিকা সেনগুপ্ত

সবুজ ঘাসের ওপর তখন স্পষ্ট চাপ চাপ রক্তের দাগ। ইতিউতি ছড়িয়ে রয়েছে সেমি অটোমেটিক বন্দুকের গুলির খোল। ঠিক ১৬ ঘণ্টা আগে যেখানে বরাতজোরে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচেছেন সহদেব সেখানেই ফের এসে দাঁড়ালেন তিনি। প্রাথমিক আতঙ্ক কাটিয়ে উঠলেও চোরা সন্ত্রাসের ছাপ তখনও চোখেমুখে। আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বোঝালেন গোটা ঘটনাক্রম। 

কালভার্টের ওপরে রাস্তা। নীচে দু'পাশে শুকনো জমিতে চলছে চাষের তোড়জোড়। গত রাতে এখানেই গুলি চালিয়ে ৫ বাঙালিকে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন সহদেব নমশূদ্র নামে স্থানীয় এক যুবক। সংজ্ঞা হারিয়ে একটি গর্তে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরদিন বেলায় সেখানে দাঁড়িয়েই গোটা ঘটনার বিবরণ দিলেন সহদেব। একে একে গোটা ঘটনাক্রম প্রকাশ্যে আনলেন তিনি। 

তিনসুকিয়ায় ৫ বাঙালির হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বনধের ডাক ১৪ সংগঠনের, স্তব্ধ জনজীবন

সহদেব জানিয়েছেন, অন্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধেতেও বিছনিমুখ গ্রামে কালভার্ট লাগোয়া একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন ৬ জন বন্ধু। তখনই জলপাই পোশাক পরে আসে কয়েকজন। জানায়, দরকারি কথা আছে। তাই কালভার্টের নীচ দিয়ে যেতে হবে অপর পারে। সেনার পোশাক দেখে সন্দেহ হয়নি কারও। কালভার্ট টপকে উলটো দিকে যেতেই দেখেন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে আরও কয়েকজন। কোনও কিছু বোঝার আগেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। গুলি লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সবাই। এরই মধ্যে সংজ্ঞা হারিয়ে পাশের একটি খাদে পড়ে যান সহদেব। অন্য তাঁরও মৃত্যু হয়েছে ভেবে এলাকা ছাড়ে জঙ্গিরা। 

অসমে বাঙালি খুনের দায় অস্বীকার করল উলফা আই, শোকপ্রকাশ সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর

এর পর গর্ত থেকে উঠে গ্রামবাসীদের খবর দেন সহদেব। তারাই এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সহদেব জানিয়েছেন, কোনও বাঙালি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন তাঁরা। কৃষিকাজ করে দিন গুজরান হয় তাঁদের। কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতাও নেই। তাও কেন তাঁদের টার্গেট করা হল তা বুঝতে পারছেন না ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। 

ওদিকে ঘটনার পর দিন সকালেও অরক্ষিত গোটা ঘটনাস্থল। ইচ্ছামতো যে কেউ ঢুকে যেতে পারে ঘটনাস্থলে। এলাকায় দেখা মেলেনি পর্যাপ্ত পুলিসকর্মীরও।  

 

 

.