বিধানসভা নির্বাচন, সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে ভোট পড়ল ১৫.১৭ শতাংশ ও হরিয়ানায় ২২.৪০ শতাংশ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, মানুষ মোদজি পাশে রয়েছে। রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাঁচ ঘণ্টা পার। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় চলছে বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সকালের দিকে হরিয়ানায় মানুষজনের মধ্যে ভোটদানে উত্সাহ লক্ষ্য করা গেলেও মহারাষ্ট্রে তেমন সাড়া মিলল না। সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে ভোট পড়ছে ১৫.১৭ শতাংশ ও হরিয়ানায় ভোট পড়েছে ২২.৪০ শতাংশ।
আরও পড়ুন-সাতসকালেই ভোট দিলেন ভাগবত-গড়করি-সহ মহারাষ্ট্র-হরিয়ানার হেভিওয়েটরা
সাইকেলে চড়ে কারনালের একটি বুথে ভোট দিতে এলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। এদিন ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, গোটা রাজ্যেই শান্তিতে ভোট হচ্ছে। ভোটের আগেই হেরে বসে রয়েছে কংগ্রেস।
Mumbai: Veteran actor Prem Chopra and Director-lyricist Gulzar leave after casting their votes at a polling booth in Bandra(West) #MaharashtraElections2019 pic.twitter.com/Lj8zBms7EB
— ANI (@ANI) October 21, 2019
Mumbai: Shiv Sena Chief Uddhav Thackeray, wife Rashmi and sons Aditya and Tejas, after casting their vote in Bandra(East). Aditya Thackeray is a candidate from Worli constituency. #MaharashtraAssemblyPolls pic.twitter.com/nleuDjis35
— ANI (@ANI) October 21, 2019
Haryana CM ML Khattar after casting his vote in Karnal: Voting is underway peacefully across the state. Opposition parties including Congress have already lost and have left the battleground, their tall claims have no value. #HaryanaAssemblyPolls pic.twitter.com/c15AtR1xM6
— ANI (@ANI) October 21, 2019
অন্যদিকে, রেহতকের একটি বুথে এসে ভোট দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস প্রধান ভূপিন্দর সিং হুড়া। এদিন তিনি বলেন, জননায়ক জনতা পার্টি কিংবা লোকদলের সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও প্রতিযোগিতা হবে না। পুরোটাই হবে বিজেপির বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরে এদিন সকালেই এসে ভোট দিয়ে যান। ভোট লাইনে দেখা যায় প্রেম চোপড়া, গুলজার, শোভা খোটে, মাধুরী দিক্ষিত, শচিন তেন্ডুলকর, প্রিয়া দত্তরা, পীযূষ গোয়েলরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, মানুষ মোদজি পাশে রয়েছে। রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি।
আরও পড়ুন- গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীর আগেই খুলে যাচ্ছে করতারপুর করিডরের দরজা
মহারাষ্ট্রে আজ লড়াইয়ের ময়দানে ৩২৩৭ প্রার্থী। অন্যদিকে হরিয়ানায় লড়ছেন ১১৬৯ জন। পাশাপাশি আজ উপনির্বাচনের ভোট নেওয়া হচ্ছে ১৮ রাজ্যের ৫১ বিধানসভা ও ২ লোকসভা আসনে। দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বিজেপি। আর কংগ্রেস ক্ষেত্রে পুরনো আসন ধরে রাখার লড়াই।
আরও পড়ুন-
দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় বিজেপি। অনেকটাই দুর্বল কংগ্রেস। দলীয় কোন্দল, শরিকি সমস্যা নিয়ে দুই রাজ্যেই জেরবার কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে মতো রাজ্যে শিবসেনার সঙ্গে নির্বাচনী জোট হওয়ায় স্বস্তিতে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের তিন রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর এবার ফের লড়াইয়ের সামনে বিজেপি।
হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যেভাবে জেরাল প্রচার করতে পেরেছে তার ধারেকাছে যেতে পারেনি কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খোদ মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা চষে বেরিয়েছেন। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে মনোযোগ দিয়েছেন অমিত শাহ। এবার ভোটের প্রচারে বিজেপির হাতে রয়েছে ৩৭০ ধারা বিলোপের মতো ইস্যু।
মহারাষ্ট্রে ২৮৮ আসনের বিধানসভায় বিজেপি এবার লড়াই করছে ১৫০ আসনে। অন্যদিকে, বিজেপি শরিক শিবসেনা লড়াই করছে ১২৪ আসনে। বাকী আসনে লড়াই করছে বিজেপির অন্যান্য শরিকরা। অন্যদিকে, এনসিপিকে সঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছে কংগ্রেস। দেবেন্দ্র ফড়নোবিশ, আদিত্য ঠাকরেরা একধিক রোড শো করে দাপিয়ে বেড়িয়েছে মরাঠা মুলুকে। বিজেপির গোটা প্রচারের বেশিরভাগটাই জুড়ে ছিল কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ।
অন্যদিকে, সোমবার হরিয়ানার ৯০ আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। সাধারণভাবে এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান ইস্যুই হয় রাজ্যের সমস্যা। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ৩৭০ ধারা ও সার্জিক্যাল স্চ্রাইকের ওপরে ভিত্তি করে নির্বচনে লড়াই করতে। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, ভারতের নদীগুলি দিয়ে যে জল পাকিস্তানে বয়ে যাচ্ছে তা তিনি হরিয়ানার চাষিদের দেবেন। এর জন্য সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকা খরচ করা হবে।