বাংলা জয়েই কি বাবুল চাল বিজেপির?
যাবতীয় জল্পনার অবসান। তপন শিকদার ও সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের পর ফের বিজেপির মন্ত্রিসভায় বাংলার মুখ। মোদীর ক্যাবিনেটে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ছমাস পর মোদীর মন্ত্রিসভায় বাংলার মুখ। রবিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়।
নয়াদিল্লি: যাবতীয় জল্পনার অবসান। তপন শিকদার ও সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের পর ফের বিজেপির মন্ত্রিসভায় বাংলার মুখ। মোদীর ক্যাবিনেটে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। ছমাস পর মোদীর মন্ত্রিসভায় বাংলার মুখ। রবিবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন বাবুল সুপ্রিয়।
বাবুল যে দলের তুরুপের তাস লোকসভার প্রচারে সময়ই তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আসানসোলের জনসভায় মোদী বলেছিলেন বাবুলকে তিনি সংসদে চান। আসানসোলের সাংসদ হওয়ার পর তাই প্রত্যাশা বাড়ছিল বলিউডের এই গায়ককে ঘিরে। অনেকেই আশা করেছিলেন মোদীর মন্ত্রিসভায় শিকে ছিঁড়বে বাবুলের। কিন্তু,প্রথমবার ন্যূনতম সরকার সর্বাধিক শাসনের মন্ত্রে ভর করে মন্ত্রিসভা ছোট রেখেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ঠাঁই হয়নি বাবুলের।কিন্তু, লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনেও রাজ্যে বিজেপির ভালো ফলের পর মোদী-অমিত শাহ জুটির স্ট্রাটেজি বদলায়। দু হাজার ষোলোর বিধানসভা ও পুরভোটকে পাখির চোখ করতে পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া কথা ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী।
রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই পরিকল্পনারই গুরুত্বপূর্ণ বোড়ে বাবুল সুপ্রিয়। জনপ্রিয় এই গায়ককে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সামিল করে রাজ্যের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে চাইছেন মোদী। সারদা কেলেঙ্কারি ও জঙ্গিযোগ, জোড়া ফলায় এখন রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের এই দুই দুর্বলতাকেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে রাজ্যের মাটিতে পদ্ম ফোটানোর পরিকল্পনা করছেন মোদী- শাহ জুটি। সেই পরিকল্পনা রূপায়নে তিনি যে নতুন ঘোড়া তা জানেন গায়ক-সাংসদ। বাংলার মাটিতে জনসমর্থনের ভিত আরও জোরালো করতে বিজেপির ঘুঁটি বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের সাংসদের প্রতিমন্ত্রিত্ব সেই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ।