বিশ্বনেতা হিসেবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও শান্ত থাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদী: বিয়ার গ্রিলস

প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও শান্ত থাকেন নরেন্দ্র মোদী। করবেট ন্যাশনাল পার্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অ্যাডভেঞ্চারে বেড়িয়ে এমনটাই মনে হয়েছে বিয়ার গ্রিলসের। তাঁর কথায়,'সমস্যার মধ্যেও শান্ত থাকেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মধ্যে অহংকার নেই এতটুকু। অত্যন্ত বিনয়ী।'

Updated By: Aug 10, 2019, 06:23 PM IST
বিশ্বনেতা হিসেবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও শান্ত থাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদী: বিয়ার গ্রিলস

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও শান্ত থাকেন নরেন্দ্র মোদী। করবেট ন্যাশনাল পার্কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অ্যাডভেঞ্চারে বেড়িয়ে এমনটাই মনে হয়েছে বিয়ার গ্রিলসের। তাঁর কথায়,'সমস্যার মধ্যেও শান্ত থাকেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মধ্যে অহংকার নেই এতটুকু। অত্যন্ত বিনয়ী।'

ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড। পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি অ্যাডভেঞ্চার শো। এর আগে শো-তে দেখা গিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে। এবার বিয়ার গ্রিলসের সঙ্গে জঙ্গল সাফারিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৪ ফেব্রুয়ারি শ্যুটিং হয়েছে করবেট ন্যাশনাল পার্কে। বন্য পরিবেশে হিংস্র জন্তুদেরও ভয় ছিল। নিরাপত্তার যে ঘেরাটোপে প্রধানমন্ত্রী মোদী চলাফেরা করেন, সাধারণত তা শ্যুটিংয়ের সময় ছিল না। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী মোদী ছিলেন একেবারে শান্ত। বিয়ার গ্রিলসের কথায়,'রাজনীতিবিদদের সাধারণত দেখা যায় মঞ্চে। কিন্তু, জঙ্গলে অন্য ব্যাপার। আপনি কে, সেটা এখানে কাজে দেয় না। আমরাও ঝড়-বৃষ্টির মুখে পড়েছি। এমনকি অফ ক্যামেরায় ওনার নিরাপত্তারক্ষীরা চিন্তিত ছিলেন। উনি খুব শান্ত ছিলেন। যা-ই করছিলাম। সমস্যাতেও শান্ত ছিলেন বিশ্বনেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদী। উনি অত্যন্ত বিনয়ী। বৃষ্টিতে ছাতা নিয়ে এগিয়ে এলেন ওনার রক্ষীরা। উনি বললেন, দরকার নেই। ঠিক আছি। ছোট্ট বোট নিয়ে নদী পার হতে চাইছিলাম। নিরাপত্তারক্ষীদের এগিয়ে এসে বললেন, এমন ভেলায় যেতে পারি না। কিন্তু উনি বললেন,'আমরা এটা করতেই পারি।'         

বিয়ার গ্রিলস আরও বলেন, 'আমি বহুবছর ধরে ভারতের ভক্ত। সেই ১৮ বছরে এদেশে এসেছিলাম। বিশ্ব নেতা নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কাজ করেছি। নিশ্চিত সবাই উপভোগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী অন্য দিক দেখতে পারবেন দর্শকরা।' 

ওবামার সঙ্গে মোদীর কোনও মিল পেয়েছেন? গ্রিলসের জবাব, আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে গিয়েছিলাম। দুজনের মধ্যে একটাই মিল, পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা দিয়েছেন তাঁরা।

সাধারণ প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন বন্য প্রাণীর মাংস, কাঁকড়া, পোকা ইত্যাদি খেতে দেখা যায় বিয়ার গ্রিলসকে। কিন্তু, মোদী নিরামিষভোজী হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে তাতে শোয়ের মূল উদ্দেশ্য তাতে ক্ষুণ্ণ হয়নি। পরিবেশ রক্ষা এবং ভারতের জীববৈচিত্র বিশ্বের দরবারে তুলে ধরাই লক্ষ্য। সঞ্চালকের দাবি, মোদী তাতে একশো শতাংশ সফল। শুধু তাই নয়, স্বচ্ছ ভারত মিশনের বার্তাও এর মাধ্যমে দিয়েছেন মোদী। বিয়ার গ্রিলসের কথায়, প্রধানমন্ত্রী নিরামিষভোজী। তাও জঙ্গলের নানা গাছপাতা খেয়ে বাঁচা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী যুবক বয়সে   জঙ্গলে কাটিয়েছেন। আমরা দুজনেই ভিজেছি। শেষে ভারতীয় চা খেয়েছি একসঙ্গে  সুন্দর চা খেয়েছি। 

সোমবার রাত ৯ টায় জলে-জঙ্গলে মোদীর অ্যাডভেঞ্চার সম্প্রচারিত হবে ডিসকভারিতে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বিয়ার গ্রিলস। 

আরও পড়ুন- ইমরান কী চান আমরা ঘাস খেয়ে থাকি? ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য রদে প্রশ্ন পাকিস্তানিদের

.