ঝরা মুকুল ঘরে তুলতে নারাজ রাজ্য বিজেপি
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত মুকুল রায়। রাজনৈতিকমহলে জোর জল্পনা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। জল্পনা বাস্তবায়িত হলে ২০১৬ তে বিপর্যয়ের মুখ দেখবে রাজ্য বিজেপি। এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই দিল্লিতে মুকুল বিরোধী দরবার করেছেন রাহুল সিন্হারা। কিন্তু তাতেও অস্বস্তি কাটছে না রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের।
ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারিত মুকুল রায়। রাজনৈতিকমহলে জোর জল্পনা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। জল্পনা বাস্তবায়িত হলে ২০১৬ তে বিপর্যয়ের মুখ দেখবে রাজ্য বিজেপি। এই আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই দিল্লিতে মুকুল বিরোধী দরবার করেছেন রাহুল সিন্হারা। কিন্তু তাতেও অস্বস্তি কাটছে না রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের।
চৌরঙ্গির মোড়ে এক জনসভা থেকে সিদ্ধার্থনাথ সিং আওয়াজ তুলেছিলেন "ভাগ মুকুল ভাগ'। ২০১৫ তে দল থেকে কার্যত ভাগিয়েই দেওয়া হল মুকুল রায়কে। সারদাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল অনেক আগেই। তলব করেছিল সিবিআই । জেরা থেকে বেরিয়ে মুকুল রায় যা দাবি করেন, তাতেই নড়ে যায় তৃণমূলের ভিত। মুকুল বলেন, "প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন হোক'।
এরপর থেকেই মুকুল রায়কে দলে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু। মুকুলও দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন। সময় দিচ্ছিলেন রাজধানীতে। কখনও রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক, কখনও বা অরুণ জেটলি, আবার কখনও বৈঠক করছিলেন অমিত শাহের সঙ্গে। তা নিয়েই শুরু হয়ে যায় জল্পনা।
মুকুল রায় যদি বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে ২০১৬ তে রাজ্যে বিজেপির সম্ভাবনা সমূলে ধ্বংস হবে, ধারণা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের। তাই সিদ্ধার্থনাথ সিংকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লিতে মুকুল-বিরোধী দরবার করছেন তাঁরা। তাতে কি অস্বস্তি কাটাতে পারছে রাজ্য বিজেপি?
কী হবে মুকুল রায়ের ভবিষ্যত্? সত্যিই কি তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন? এনিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কি চাপ দেবে রাজ্য বিজেপিকে? সেনিয়ে জল্পনা রাজ্য বিজেপির অন্দরেই।