নীতিশের চোখে দিল্লি, কথায় বিহার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার দিল্লি জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিলেন নীতিশ কুমার। জাতীয় রাজনীততে কংগ্রেস আর বিজেপির অবস্থা বেশ খারাপ, এই অবস্থার সুযোগ নিতে আঞ্চলিক দলগুলো কোমর বেঁধে নেমে পড়ছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও তার ব্যতিক্রম হলেন না। পাটনার গান্ধী ময়দানে `অধিকার` সমাবেশে নীতিশ জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল জেডিইউকে এমনভাবে জেতাতে যাতে বিহারকে ছাড়া দিল্লির কুর্সি দখল অসম্ভব হয়ে যায়। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ঘুরিয়ে বলেন, বিহারের সাড়ে ১০ কোটি মানুষকে অবহেলা করে দিল্লিতে সরকার গড়া যাবে না।

Updated By: Nov 4, 2012, 05:19 PM IST

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার দিল্লি জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিলেন নীতিশ কুমার। জাতীয় রাজনীততে কংগ্রেস আর বিজেপির অবস্থা বেশ খারাপ, এই অবস্থার সুযোগ নিতে আঞ্চলিক দলগুলো কোমর বেঁধে নেমে পড়ছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও তার ব্যতিক্রম হলেন না। পাটনার গান্ধী ময়দানে `অধিকার` সমাবেশে নীতিশ জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল জেডিইউকে এমনভাবে জেতাতে যাতে বিহারকে ছাড়া দিল্লির কুর্সি দখল অসম্ভব হয়ে যায়। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ঘুরিয়ে বলেন, বিহারের সাড়ে ১০ কোটি মানুষকে অবহেলা করে দিল্লিতে সরকার গড়া যাবে না। আর তাই নীতিশের আবদার তাঁর দলকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাক আসনে জিতিয়ে এনে বিহারের জনগণ এমন পরিস্থিতি তৈরি করুক যাতে দিল্লিতে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তারা বিহারকে বিশেষ মর্যাদা (স্পেশাল স্টেটাস) দিক। এরপরই জাতীয় রাজনীতিতে ছাপ ফেলতে যা করা হয়, সেই রামলীলা ময়দানে সভা করার ডাক দেন বিহারের ৬১ বছরের মুখ্যমন্ত্রী। আগামী মার্চ মাসেই রামলীলা ময়দানে জেডিইউ ঐতিহাসিক সমাবেশ করবে বলে জানান।
বিশেষ আর্থিক সুবিধার দাবিতে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে এদিন পথে নেমেছিলনন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। বিহারের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক সমাবেশে হাজির ছিলেন। পাটনার গান্ধী ময়দানে সমাবেশ স্থলে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আসার জন্য রাজ্য জুড়ে সাতটি বিশেষ ট্রেন ও দশ হাজার বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে দশহাজার পুলিস কর্মী। ২০০৫ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিহারকে বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন নীতিশ কুমার। রাজনৈতিকমহলের মতে নিজের উন্নয়নমূলক ভাবমূর্তি বজায় রাখতেই `অধিকার` সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সমাবেশের আয়োজনে কোনও খামতি রাখছে না জনতা দল। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকছে খাবারের ব্যবস্থা। সমাবেশের রান্নাঘরের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী রেণু কুমারী।
নীতিশের আজকের এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় জল্পনা। এমনিতে এনডিএর শরিক হলেও নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে জেডিইউয়ের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে নীতিশ দিল্লির দিকে পা বাড়িয়ে বিজেপিকে বার্তা দিয়ে রাখলেন। কে বলতে পারে আদবানী, সুষমা স্বরাজ, নরেন্দ্র মোদীদের পিছনে ফেলে এনডিএ`র প্রধানমন্ত্রী পদে নীতিশই আগে চলে আসবেন না। সেদিনের শুরুটা হয়তো আজই লেখা হল গান্ধী ময়দানে। লালুপ্রসাদ যাদবকে হারিয়ে বিহার দখলের ৭ বছর পর নীতীশের চোখ এখন জাতীয় রাজনীতিতে।

.