নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশ্য রাস্তায় ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেত্রীকে লাথি, থাপ্পড় মেরে বিতর্কের মুখে পড়েন বিজেপির বিধায়ক বলরাম ঠাওয়ানি। ‘কসুর’ ছিল এলাকার জল সমস্যা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন এনসিপি-র ওই নেত্রী নীতু তেজওয়ানি। নির্মম ভাবে নীতুকে মারধরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় তড়িঘড়ি দুঃখপ্রকাশ করেন গুজরাটের নারোদা বিধানসভার বিধায়ক। এর পর নীতুকেই পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “সে আমার বোনের মতো। এমন ঘটনার জন্য তার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। আমাদের মধ্যে যে বোঝাপড়ার সমস্যা হয়েছিল তা মিটিয়ে নিয়েছি। ওর যে কোনও সমস্যায় পাশে আছি।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, এলাকায় জলের সমস্যা নিয়ে আহমেদাবাদের নারোদা বিধানসভার বিধায়ক বলরাম থাওয়ানির সঙ্গে কথা বলতে যান এনসিপি নেত্রী নীতু তেজওয়ানি। এলাকার বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বলরামের অফিসে যান নীতু। নীতুর অভিযোগ, কোনও কথা শোনার আগেই উনি আমাকে থাপ্পড় মারতে থাকেন। আমি মাটিতে পড়ে গেল উনি আমাকে লাথি মারেন। আমার স্বামীকেও ওরা মারধর করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে প্রশ্ন করতে চাই, বিজেপির আমলে মহিলারা কী নিরাপদ এরাজ্যে!


আরও পড়ুন- ভোট ফুরোতেই মুড়োলো বুয়া-বাবুয়ার সম্পর্কও! যাদব ভোট না পেয়ে একা লড়ার ইঙ্গিত মায়াবতীর


প্রথমে, গোটা বিষয়টাই উড়িয়ে দেন বলরাম। তিনি বলেন, নিজে বাঁচার জন্যই পা চালিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, ৫০ জন মহিলা ও ২০ জন পুলিস জলের সমস্যা নিয়ে কথা বলতে এসেছিল। ওদের সোমবার আমার অফিসে আসতে বলেছিলাম। বলরামের অভিযোগ, জনতা আমাকে ঘেরাও করেছিল। ওদের সঙ্গে যখন কথা বলছিলাম তখন জনতার মধ্যে থেকে কেউ আমাকে ঘুসি মারে। এরপরই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সবই অফিসের ভেতর থেকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেয়। এর মধ্যেই মহিলাদের ওপরে চড়-ঘুসি পড়তে থাকে।


তবে, এ দিন সংবাদিক বৈঠকে নীতুকে রাখি পরিয়ে দেন বলরাম। নীতু জানান, বিজেপির বিধায়ক তাঁকে বোন হিসাবে দেখেন। সে ভাবেই নীতুকে মারেন বলরাম। তবে নীতুর দাবি, আলোচনা করে সব সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে।