বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চান মমতা! সংসদে সরব দিলীপ, বোঝালেন কাটমানির সংজ্ঞাও
বাংলায় হিংসা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় নয়া বিজেপি সাংসদকে। দিলীপ বলেন, দেশের ৫৪২টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র ৪২টি আসনে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সংসদে কাটমানি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, “এ রাজ্যে নতুন জিনিস উদ্ভব হয়েছে। তা হল কাটমানি। আমরা এর আগে কখনও শুনিনি।” এরপর কাটমানি কী তার ব্যাখ্যাও করেন সংসদে। দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, কাটমানির জন্য নেতা-মন্ত্রীর ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে জনতা। খোদ মুখ্যমন্ত্রীই কাটমানি বন্ধের জন্য আইন আনবেন বলেছেন। দিলীপের কথায়, নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চালাচ্ছেন। কিন্তু তাদের নেতা, মন্ত্রী, কাউন্সিলর চলে আসছে বিজেপিতে।
দিলীপের অভিযোগ, এ রাজ্যে সরকার আছে, আইন নেই। থানা আছে পুলিস নেই। স্কুল-কলেজ থাকলেও ধরনায় বসছেন শিক্ষাকর্মীরা। এমনই সোনার বাংলা মুখ্যমন্ত্রী আমাদের উপহার দিয়েছেন। এ দিন দিলীপ ঘোষ অভিযোগ তোলেন, ভাষা নিয়ে বিভেদ তৈরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিহারিদের দের ‘বাহারি’ বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। বাংলা শিখে এ রাজ্যে প্রবেশ করতে হবে বলে মমতা নিদান দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন দিলীপ। তাঁর কটাক্ষ, হেমা মালিনী যদি গঙ্গা স্নানে যান, তাহলে ওনাকেও বাংলা শিখতে হবে।
আরও পড়ুন- ঝাড়খণ্ডের গণপিটুনি ঘটনায় ‘গাফিলতির’ অভিযোগ চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে
বাংলায় হিংসা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করতে দেখা যায় নয়া বিজেপি সাংসদকে। দিলীপ বলেন, দেশের ৫৪২টি আসনের মধ্যে শুধুমাত্র ৪২টি আসনে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ওখানে ভোটার থাকলে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই বলে তাঁর অভিযোগ। মমতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ইভিএম-এ হারলে ব্যালট করার দাবি তুলছেন, ব্যালটে হারলে নির্বাচনই বন্ধ করে দিতে চাইছেন। এ প্রসঙ্গে পুরসভা নির্বাচন না করানোর অভিযোগ তোলেন দিলীপ। তাঁর দাবি, মানুষ ইতিমধ্যে রায় দিয়ে দিয়েছেন। মমতার এখনই ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া উচিত।
সংসদে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চান। আমরাও চাই। সংসদে বাংলায় কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু ৪২টি আসন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় না। দিলীপের কটাক্ষ, মমতা নতুন যোজনা নিয়ে এসেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় আসবেন। এই জন্য নির্বাচনী প্রচারে বাংলাদেশ থেকে অভিনেতাও নিয়ে আসতে হয়েছে তাঁকে।