নিজস্ব প্রতিবেদন: নরেন্দ্র মোদীর দলের সবচেয়ে পুরনো বন্ধু। কিন্তু গত দেড়-দু'বছরে সেই বন্ধুর সঙ্গে বারবার মনোমালিন্য হয়েছে বিজেপির। বন্ধু-বিচ্ছেদের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু শেষপর্যন্ত মিটমাট হয়ে গেল বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: এবার আরও কড়া শব্দে পাকিস্তানকে আক্রমণ গম্ভীরের


একটি সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। ওই রাজ্যে লোকসভার আসন ৪৮টি। বিজেপি লড়বে ২৫টি আসনে। আর শিবসেনা লড়বে ২৩টি আসনে।


২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে মোদীর দল লড়াই করেছিল ২৬টি আসনে। বাকি ২২টি আসনে লড়াই করেছিল উদ্ধব ঠাকরের দল। এবার পালঘর লোকসভা আসনটি বিজেপি শিবসেনাকে ছেড়ে দেবে বলে ওই সূত্রের দাবি।


আরও পড়ুন: জওয়ানদের হাতে মার খেয়েই জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে আদিল!


এ বছরই রয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভার নির্বাচন। সেই ভোটেরও আসন সমঝোতা দুই দল সেরে ফেলেছে। মহারাষ্ট্রে বিধানসভার ২৮৮ আসন। ওই সূত্রের দাবি, তার মধ্যে ১৪৫টি আসনে লড়বে বিজেপি। ১৪৩টি আসনে শিবসেনা প্রার্থী দেবে বলে ঠিক হয়েছে।


ওই সূত্রের দাবি, বিজেপি তাদের দখলে থাকা ৬-৭টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে। ওই আসনে এবার লড়াই করবে শিবসেনা।


আরও পড়ুন: পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার জবাব কখন, কীভাবে দেওয়া হবে তা ঠিক করবে জওয়ানরা: মোদী


প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য তিনি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও।


তার পরই সবকিছু চূড়ান্ত হয়। কিন্তু দুই দলের তরফে এখনই এ নিয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি। শীঘ্রই এ নিয়ে ঘোষণা করা হবে ওই সূত্রের দাবি।


আরও পড়ুন: পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা, মিলল মূলচক্রী রশিদ গাজির হদিশ!


প্রসঙ্গত, আগেরবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও শিবসেনার মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল। তবে তাতে ক্ষতি হয়েছিল শিবসেনার। পরে অবশ্য সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকেই বিজেপির তরফে বারবার বেশি আসনের দাবি করা হচ্ছিল। এ নিয়েই দ্বন্দ্ব হচ্ছিল দুই দলের মধ্যে। সেই সমস্যা কোন সমীকরণে মিটল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সকলে।


আরও পড়ুন: ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি, দোভালকে জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


তবে এই সমঝোতা হলে, তা ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির কাছে যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক।