এবার আরও কড়া শব্দে পাকিস্তানকে আক্রমণ গম্ভীরের
পুলওয়ামা হামলার পর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি বৈঠক বসে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, তিন বাহিনীর প্রধান-সহ আরও বেশ কয়েকজন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ের উপর জঙ্গিহানার ঘটনার পর থেক ফুঁসছে গোটা দেশ। তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা দেশে। সকলেরই বক্তব্য এক। নিহত জওয়ানদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়! যে কোনওভাবেই এমন হামলার বদলা নেওয়ার দাবি উঠেছে দেশজুড়ে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনার পরই পাকিস্তানের কড়া সমালোচনা করেছিলেন গৌতম গম্ভীর। এবার আরও একবার পাকিস্তানকে কড়া শব্দে আক্রমণ করলেন তিনি। ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের মোস্ট ফেবার্ড নেশনের তকমা কেড়ে নেওয়াকে সমর্থন করেছেনন গম্ভীর। পাকিস্তানকে কাঠগড়া তুলে গম্ভীরের সাফ কথা, এবার ইমরান খানের দেশকে কোণঠাঁসা করার সময় এসেছে।
আরও পড়ুন- পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার জবাব কখন, কীভাবে দেওয়া হবে তা ঠিক করবে জওয়ানরা: মোদী
I have some news for Pakistan. We should continue their ‘MFN’ status. Only thing is, that this time we the civilians will decide what ‘F’ stands for. https://t.co/5SsC6BlDvT
— Gautam Gambhir (@GautamGambhir) February 16, 2019
পুলওয়ামা হামলার পর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি বৈঠক বসে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, তিন বাহিনীর প্রধান-সহ আরও বেশ কয়েকজন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। সেই আলোচনাসভাতেই সিদ্ধান্ত হয়, পাকিস্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে "মোস্ট ফেবার্ড নেশন'-এর তকমা। এমন তকমা থাকলে কোনও দেশ আর্থিকভাবে আরেকটি দেশ থেকে বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা পায়। মোস্ট ফেবার্ড নেশন থেকে চুক্তির ভিত্তিতে কেনা হয় বিভিন্ন সামগ্রী। কিন্তু এবার পাকিস্তান সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। গম্ভীর সেই প্রসঙ্গ টেনেই টুইট করলেন। পাকিস্তানকে খোঁচা দিলেন। ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে লিখলেন, পাকিস্তানের এমএফএন (মোস্ট ফেভার্ড নেশন) স্ট্যাটাস বজায় রাখা হোক। কিন্তু 'এফ' অক্ষরটির ব্যবহারিক প্রয়োগের অধিকার দেওয়া হোক দেশের সাধারণ জনগণকে।