নিজস্ব প্রতিবেদন: কোঝিকোড় বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাগ্রস্থ এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমানের দুর্ঘটনাস্থল থেকে মিলল বিমানের ডিজিট্যাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার(ব্ল্যাক বক্স ) ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। ওই দুই যন্ত্রকে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বিশ্লেষণের জন্য। এর থেকে বোঝা যাবে দুর্ঘটনার আগে বিমান কী অবস্থায় ছিল, বিমানের গতি কী ছিল, ব্রেকিং সিস্টেম কাজ করেছিল কিনা। পাশাপাশি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার থেকে পাইলটদের মধ্যে শেষ মুহূর্ত কী কথা হয়েছিল তা বোঝা যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-৪০ কিমি যেতে ভাড়া ৮০০ টাকা! লকডাউনে বিমানবন্দরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দালালচক্র
 
আজ কোঝিকোড় বিমানবন্দরে যান কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ পুরী। এদিন তিনি জানান, অন্য কোনও বিমানবন্দের নামার জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানী বিমানটিতে ছিল। তার পরেও কেন ঝুঁকি নিয়ে এখানেই বিমানটি অবতরণ করল বোঝা যাচ্ছে না।


দুনিয়াজুড়ে বিমানের চলাচলের ওপরে নজর রাখে সুইডিশ ওয়েবসাইট Flightradar24। ওই সাইটের মতে বিমানটি কোঝিকোড়ের টেবিল টপ বিমানবন্দরে অবতরণের আগে আকাশে দুবার চক্কর দিয়েছিল। পরপর দুবার অবতরণের চেষ্টার করার পর তা ল্যান্ড করে। তারপরেই  বিমানটি  স্কিড করে দুটুকরো হয়ে য়ায়।


টানা বৃষ্টিতে এর আগেও কোঝিকোড় বিমানবন্দরের রানওয়ারে বেশ ক্ষতি হয়েছে। ফলে আগেও রানওয়েতে বিমান ওঠানামা বাতিল করা হয়েছে। ৯ বছর আগে এক বিশেষজ্ঞ  সাবধান করেছিলেন, রানওয়েটি অত্যন্ত ঢালু এবং এর মধ্যে কোনও সেফটি এরিয়া নেই। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় অসমারিক বিমান পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, ওই একই রানওয়েতে কয়েকশো ফ্লাইট নেমেছে।


আরও পড়ুন-স্কুল খুলতেই করোনা আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীরা, কোয়ারেন্টাইনে প্রায় ১০০ জন
 
উল্লেখ্য, গতকালের ওই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১২৭ জন যাত্রী। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিমানের দুই পাইলট ক্যাপ্টেন কমান্ডার দীপক বসন্ত সাঠে ও ক্যাপ্টেন অখিলেশ কুমার। কমান্ডার সাঠে ভারতীয় বায়ুসেনার ফাইটার পাইলট ছিলেন।