বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকায় গড়িমসি! ২০১৮ সালে সরকার পাবে সুইস ব্যাঙ্কের তথ্য

দেশে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, আর বিদেশে ধীরে চল নীতি! কালো টাকা নিয়ে কার্যত কার্ফু জারি করেছে মোদী সরকার। অন্য দিকে বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা উদ্ধারে প্রায় দুবছর সময় নিল ভারত সরকার।

Updated By: Nov 22, 2016, 09:28 PM IST
বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকায় গড়িমসি! ২০১৮ সালে সরকার পাবে সুইস ব্যাঙ্কের তথ্য

ওয়েব ডেস্ক: দেশে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, আর বিদেশে ধীরে চল নীতি! কালো টাকা নিয়ে কার্যত কার্ফু জারি করেছে মোদী সরকার। অন্য দিকে বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকা উদ্ধারে প্রায় দুবছর সময় নিল ভারত সরকার। দেশের কালো টাকা, জাল নোট, সন্ত্রাস ইস্যু দমনে কড়া দাওয়ায়াই মোদীর। ৫০ দিনের সময়ও চেয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। অথচ দেশের বাইরে গচ্ছিত কালো ধনের নথি পেতেই সরকার সময় নিল প্রায় ২ বছর। সুইজারল্যান্ড এবং ভারতের মধ্যে সাক্ষরিত হল চুক্তি, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মিলবে নথি। ভারতের ধনকুবেররা সুইস অ্যাকাউন্টে কত টাকা রেখেছে, তার লেনদেন সংক্রান্ত রিপোর্ট মিলবে আগামী লোকসভা ভোটের কিছুটা আগে। তবে এটাও কী, রাজনৈতিক চাল? আরও পড়ুন- উগ্র দক্ষিণপন্থার হাতেই কী ভারতে বোনা হল নয়া সাম্যবাদের বীজ?

   

কালো টাকা দেশে ফেরাতে উদ্যোগী কেন্দ্র। কিন্তু সেই উদ্যোগে কার্যত জল ঢেলে দিল সুইত্জারল্যান্ড। কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আজ সুইত্জারল্যান্ডের সঙ্গে একটি যৌথ ঘোষণায় সই করে দুই দেশ। স্বয়ংক্রিয় তথ্য আদানপ্রদানের ব্যাপারে দুই দেশ সহমত পোষণ করে। তবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের আগে থেকে যে সব ভারতীয়র সুইস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই সব অ্যাকাউন্টের কোনও তথ্য আদানপ্রদানের বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। চুরি যাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুইস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে যে বারবার তথ্য চেয়ে আসছে ভারত, সে বিষয়ে কোনও আলোকপাত করা হয়নি এই যৌথ ঘোষণায়। তবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে যে সব ভারতীয় সুইস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন, তাঁদের যাবতীয় তথ্য পাবে ভারত। ভারতের আয়কর দফতর সরাসরি এই সব তথ্য পেয়ে যাবে। এমনটাই জানান ভারতের রাজস্ব সচিব হাসমুখ আদিয়া।   

 

 ৫০০ আর হাজারের পুরনো নোট নিষদ্ধ হয়েছে দেশে। অর্থনীতিতে এই রদবদল আগামী দিনে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে। কিন্তু দেশের মধ্যে যে 'ধন ক্রান্তি বিপ্লব' চলছে তা নিয়ে সোরগোল প্রতিটা রাজ্যে, প্রতিটা শহরে, প্রতিটা গ্রামে, প্রতি ঘরে ঘরে। কালো টাকা ইস্যুতে দেশের জন্য সব করতে রাজি আম জনতা। প্রায়ই লেখালেখি চলছে, দেশের কালো টাকার মাত্র ৫ শতাংশ নাকি এই নোট ব্যান সিদ্ধান্তে সরকারের হাতে আসতে চলেছে। তাহলে বাকিটা? বিরোধীরা প্রায়ই সরব হয়েছে, দেশের বাইরে গচ্ছিত কালো টাকা নিয়ে সরকারের নীতি কি? নিরুত্তর থেকেছেন মোদী এবং তাঁর মন্ত্রিসভা। বিরোধীদের এই আন্দোলনে কিছুটা বেগ আনতে তাই তড়িঘড়ি সুইস দেশের সঙ্গে নথি লেনদেনের চুক্তি করল ভারতের অর্থ মন্ত্রক। তবে এই সিদ্ধান্ত কী আদৌ জনতার জন্য, না রাজনীতির ট্রাম্প কার্ড এই 'কালো ধন', প্রশ্ন সব মহলে। 

 

 

 

.