লখনউয়ে হিন্দুত্ববাদী নেতা খুনের ঘটনায় ২ আততায়ীকে চিহ্নিত করল পুলিস, হেটেলে মিলল রক্তাক্ত পোশাক
লখনউয়ে হিন্দুত্ববাদী নেতা কমলেশ তিওয়ারি হত্যাকাণ্ডে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিস। দুই ঘাতককে সনাক্ত করার পাশাপাশি তারা যে হোটেলে ছিল সেখান থেকে রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করল পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লখনউয়ে হিন্দুত্ববাদী নেতা কমলেশ তিওয়ারি হত্যাকাণ্ডে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিস। দুই ঘাতককে সনাক্ত করার পাশাপাশি তারা যে হোটেলে ছিল সেখান থেকে রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করল পুলিস।
আরও পড়ুন-স্তন ক্যান্সার থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সচেতনতার! চিনে নিন এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি
শুক্রবার লখনউয়ের খুরশিদবাগ এলাকায় নিজের অফিসেই খুন হন হিন্দু সমাজ পার্টির সভাপতি কমলেশ তিওয়ারি। এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে ২ যুবক। তাদের সঙ্গে মিষ্টি খান তিওয়ারি। এরপর অফিসের এক কর্মীকে পান আনতে বলেন কমলেশ। এই ফাঁকেই ওই দুই যুবক কমলেশকে গুলি করে ছুরি দিয়ে তার গলার নলি কেটে দেয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে মইনুদ্দিন পাঠান ও আসফাক হুসেন নামে দুই যুবককে চিহ্নিত করেছে পুলিস। তারা উঠেছিল লখনউয়ের হোটেল খালসা ইন-এ। উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ও পি সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হোটেলের ঘর থেকে রক্তমাখা কুর্তা উদ্ধার করেছে পুলিস। ওই কুর্তা পরেই কমলেশের সঙ্গে দেখা করতে যায় তারা।
Kiran Tiwari, wife of Kamlesh Tiwari, after meeting UP CM Yogi Adityanath, in Lucknow: He (UP CM) assured us that justice will be done. We demanded capital punishment for the murderers. He assured us that they will be punished. #KamleshTiwariMurder pic.twitter.com/cxJHdpXiie
— ANI UP (@ANINewsUP) October 20, 2019
Lucknow police:Received inputs about 2 suspects, Sheikh Ashfaq Hussain&Pathan Moinuddin Ahmed were staying at Hotel Khalsa. A saffron coloured garment & a towel with blood stains were found in room.Hotel Manager says,'After seeing the footage on TV,we checked IDs&informed police' pic.twitter.com/FlOC1ElKZ5
— ANI UP (@ANINewsUP) October 20, 2019
পুলিসের দাবি, খুনের আগের দিন রাত দশটা নাগাদ ওই হোটেলের একটি রুম বুক করে মইনুদ্দিন ও আসফাক। আসল পরিচয়পত্র দিয়েই তারা ঘর নিয়েছিল। পরদিন খুনের পরই কিছু না বলেই হোটেল ছেড়ে দেয় তারা।
আরও পড়ুন-নীলম ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনার পাল্টা গোলাগুলি; নিহত ৪, কবুল করে নিল পাকিস্তান
ডিজিপি আরও জানিয়েছেন, সুরাট থেকে তারা মিষ্টি কিনে এনেছিল। সেই বিল দেখে সুরাটের সেই মিষ্টির দোকানে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। তখনই ওই দুজনকে সনাক্ত করা হয়।
পুলিস আরও জানিয়েছে, সুরাট থেকে কানপুরে আসে ওই দুজন। পরে কানপুর থেকে সড়ক পথে ৭০ কিলোমিটার পেরিয়ে লখনউয়ের হোটেলে ডেরা বাঁধে তারা। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে জানা যাচ্ছে তারা রয়েছে দিল্লিতে। তবে এখনও অধরা।
এদিকে, রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করে কমলেশ তিওয়ারির পরিবারের লোকজন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কমলেশের ঘাতকদের ফাঁসির দাবি করেন তাঁরা।