ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাঝেই উত্তপ্ত সীমান্ত, এলওসিতে আবার গুলি চালাল পাকিস্তান
সন্ত্রাসের আবহের মধ্যেই আজ ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে বসতে চলেছে ভারত-পাকিস্তান। সকাল ১১টা ৩০-এ আর এস পুরা সেক্টরে বসতে চলেছে দু`দেশের সেনা প্রধানরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চাইছে বিএসএফ আধিকারিকরা পাক রেঞ্জারদের সঙ্গে কথা বলে সীমান্ত সমস্যা স্বাভাবিক করুক। আর এই ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাঝেই উঁকি দিচ্ছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জম্মু-কাশ্মীরে চলতে থাকা অশান্তি থামার সম্ভাবনা।
শান্তি চুক্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আরও একবার সীমান্তে গুলি চালাল পাক সেনা। পুঞ্চ সেক্টরে চলছে ব্যপক গুলিগোলা। প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র কর্ণেল আর কে পাল্টা জানিয়েছেন, আজ সকাল ৫টে ১০ থেকে গম্ভীর এলাকার গুলি চালাতে শুরু করে। পাক সেনার আত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র বারবার নিশানা বানায় ভারতীয় ক্যাম্পগুলিকে। তবে আজকের গুলি বিনিময়ে নতুন করে কোনও হতাহতের খবর নেই। এই নিয়ে ১৫০ বারের বেশি শান্তি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। গত ৮ বছরে এমন বেলাগাম একতরফা গুলি চলেনি সীমান্তে। জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।
সন্ত্রাসের আবহের মধ্যেই আজ ফ্ল্যাগ মিটিংয়ে ভারত-পাকিস্তান। সকাল ১১টায় আর এস পুরা সেক্টরে আলোচনায় বসছে দু'দেশের সেনা প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চাইছে বিএসএফ আধিকারিকরা পাক রেঞ্জারদের সঙ্গে কথা বলে সীমান্ত সমস্যা স্বাভাবিক করুক। আর এই ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাঝেই উঁকি দিচ্ছে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জম্মু-কাশ্মীরে চলতে থাকা অশান্তি থামার সম্ভাবনা।
চলতি মাসের ১৮ ও ২০ তারিখ দু`দিন ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের সম্ভাবনা থাকলেও, পরে তা ভেস্তে যায়। সীমান্তে বি এস এফ পোস্টগুলি লক্ষ্য করে চলতে থাকে গুলি। আর জম্মু-কাশ্মীরের গুলি গোলা চিন্তায় রেখেছে নর্থ ব্লককে। চাপ বাড়ছে ইউপিএ সরকারের ওপর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষের কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য সমালোচনা করেছে বিরোধীরাও। সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে থেকে গৃহহারা হতে শুরু করেছে বহু মানুষও।
সীমার গ্রামগুলির মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি। পাকিস্তান যদি শান্তির কোনও চিহ্ন না দেখিয়ে গুলি চালাতে থাকে তাহলে আদতেও সীমান্তে শান্তি নামবে কী না, তা নিয়ে রয়ে যাচ্ছে প্রশ্ন?