Abhishek on NRC: 'অনুপ্রবেশ আটকানোর দায়িত্ব কেন্দ্রের, CAA-NRC নিয়ে বিজেপির দ্বিচারিতা স্পষ্ট'
প্রথম দিন থেকেই এনআরসি নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক আইন
নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমে একদিনের সফরে গিয়ে দফায় দফায় বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দলের এক অনুষ্ঠান শেষে গুয়াহাটির খানাপাড়া দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন অভিষেক। সেখানেই সিএএ থেকে এনআরসি, অসমের শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে অনুপ্রবেশ-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল নেতা।
অসম সফরে এসে অসমে ও বাংলায় বিদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অমিত শাহ। এনিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশিদের অনুপ্রবেশ হচ্ছে। তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমনটাই বলেছেন অমিত শাহ। কিন্তু সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব বিএসএফ ও কেন্দ্রের। এক্ষেত্রে আমি উল্টে প্রশ্ন করতে পারি, অসমে কেন এত বেকারি, কেন রাজ্যের মহিলারা এত অসুরক্ষিত? শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থারও হাল কেন এত খারাপ। কী বলবেন উনি?
সিএএ নিয়ে অমিত শাহকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, অসমে এনিয়ে একরকম কথা বলছেন। আবার বাংলায় গেলে অন্য কথা বলছেন। এনিয়ে ওঁকে প্রশ্ন করা উচিত। বিজেপি এরকমই রাজনীতি করে। দেশের মানুষ দেখেছে সিএএ নিয়ে বিজেপি কী ধরনের রাজনীতি করছে। সিএএ বিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে লোকসভাস পাস হয়েছিল। এক মাসের মধ্যেই তা আইনে পরিণত হয়। কিন্তু সিএএ পাস হওয়ার পর বহু দিন কেটে গিয়েছে। এতদিন পরও তা লাগু হল না। কেন্দ্র সম্ভবত ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এর জন্য সময় নিয়েছে। কেন্দ্র বলেছিল করোনা চলে গেলে সিএএ লাগু হবে। আর অসমে এসে সেই সিএএ নিয়ে কোনও কথাই বলেন না কেন্দ্রীয় নেতারা। অর্থাত্ এই যে দ্বিচারিতা তা মানুষের কাছে স্পষ্ট।
এনআরসি নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান সম্পর্কে অভিষেক বলেন, প্রথম দিন থেকেই এনআরসি নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক আইন। যারা ভোটে তুমি মন্ত্রী হয়েছো তাকেই তুমি কীভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বানাবে? ওইসব নাগরিকদের ভোট যদি অবৈধ হয় তাহলে আপনার মন্ত্রী হওয়াও অবৈধ। এনআরসিতে ১৯ লাখ লোকের নাম এখানে বাদ চলে গেল। যারা এখানে পুরুষের পর পুরুষ ধরে রয়েছেন তাদের এখান থেকে তাড়াবে? বিজেপির নেতারা তাদের পুরনো কাগজ দেখাতে পারবেন? অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে হবে বিএসএফকে। এটা রাজ্য সরকারে কাজ নয় কেন্দ্রের কাজ। ২০১৩ সাল থেকে এনআরসির কথা হচ্ছে। যখন লিস্ট বের হল তখন দেখা গেল যাদের নাম লিস্টে থাকার কথা তাদের নাম নেই। আর যাদের নাম লিস্টের বাইরে থাকার কথা তাদের নাম রয়েছে লিস্টে। তাই এই লিস্টের কোনও ভিত্তি নেই। বিজেপির ভেতরেই এর বিরোধিতা রয়েছে। এই আইনকে একটা গাজরের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-'অসম থেকে বিজেপি তাড়িয়ে ছাড়ব', হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজ্যে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের