ধর্ষণ প্রতিরোধ বিলের খসড়ায় সম্মতি ক্যাবিনেটের
মহিলাদের উপর ক্রমবর্ধমান যৌননির্যাতনে লাগাম পড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিগোষ্ঠীর চূড়ান্ত সম্মতির পর ধর্ষণ প্রতিরোধ বিলের খসড়ায় সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রস্তাব মেনেই এই খসড়াতে সম্মতিক্রমে সহবাসের বয়ঃসীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হচ্ছে। আগামী সোমবার এবিষয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হবে৷
মহিলাদের উপর ক্রমবর্ধমান যৌননির্যাতনে লাগাম পড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিগোষ্ঠীর চূড়ান্ত সম্মতির পর ধর্ষণ প্রতিরোধ বিলের খসড়ায় সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ মন্ত্রিগোষ্ঠীর প্রস্তাব মেনেই এই খসড়াতে সম্মতিক্রমে সহবাসের বয়ঃসীমা ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করা হচ্ছে। আগামী সোমবার এবিষয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হবে৷
আগামী ২০ মার্চ সংসদে বিলটি পেশ হতে পারে। এই বিলের খসড়ায় যৌন নির্যাতনের পরিবর্তে ধর্ষণ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এই খসড়ায় এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে কোনও মহিলাকে উত্ত্যক্ত করা, অভব্যভাবে তাঁকে স্পর্শ করা, অঙ্গভঙ্গি ও কটূ মন্তব্যের মতো বিষয়গুলিকে জামিন অযোগ্য অপরাধের পর্যায়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগকারিণী মিথ্যা কথা বললেও, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়ার সংস্থান নেই খসড়ায়৷
গতকাল এই বিলটির খসড়া নিয়ে মন্ত্রিসভায় মতানৈক্য দেখা গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় শিশু ও মহিলা কল্যাণ মন্ত্রী কৃষ্ণা তিরাথ দাবি করেন সম্মতিক্রমে সহবাসের বয়স কমিয়ে দিলে শিশু নির্যাতনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু মন্ত্রিগোষ্ঠীর অন্যান্যরা বিপরীত যুক্তি দিয়ে বলেন, বহু ক্ষেত্রে টিনএজাররা সম্মতি ক্রমে যৌন সম্পর্ক তৈরি করলেও মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু সহবাসের বয়ঃসীমা কমিয়ে দিলে এই প্রবণতা হ্রাস পাবে।
লিঙ্গ নিরপেক্ষ যৌন নির্যাতন শব্দটিকে অনেকে ধর্ষণের পরিবর্তে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতিক্রমে ধর্ষণ শব্দটিই খসড়ায় রয়ে যায়।
গত ডিসেম্বরে রাজধানীর চলন্ত বাসে ২৩ বছরের তরুণীর গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর দেশ জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। এরপরেই দেশজুড়ে আন্দোলনের চাপে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।