উত্তর-পূর্বের বাসিন্দাদের 'চিঙ্কি' বলে ডাকলেই এবার ৮ বছরের জেল
উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষদের প্রতি বাদবাকি ভারতের আচরণ যে কতটা ভয়ানক তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে। পথে ঘাটে উত্তর পূর্বের মানুষদের প্রায়ই শুনতে হয় অবমানকর মন্তব্য। এই ধরণের বর্ণবৈষম্য মূলক আচরণ আটকাতে কিছুটা কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। উত্তরপূর্বের কোনও বাসিন্দাদের প্রতি অবমানকর মন্তব্য যেমন তাদেরকে 'চিঙ্কি' বলে ডাকলে এবার অজামিনযোগ্য সর্বাধিক ৮ বছরের জেল হতে পারে।
নয়া দিল্লি: উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষদের প্রতি বাদবাকি ভারতের আচরণ যে কতটা ভয়ানক তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে। পথে ঘাটে উত্তর পূর্বের মানুষদের প্রায়ই শুনতে হয় অবমানকর মন্তব্য। এই ধরণের বর্ণবৈষম্য মূলক আচরণ আটকাতে কিছুটা কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। উত্তরপূর্বের কোনও বাসিন্দাদের প্রতি অবমানকর মন্তব্য যেমন তাদেরকে 'চিঙ্কি' বলে ডাকলে এবার অজামিনযোগ্য সর্বাধিক ৮ বছরের জেল হতে পারে।
শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন এমকে বেজবরুয়া প্যানেলের সুপারিশ অনুযায়ী ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় দুটি জামিন অযোগ্য ধারা যোগ করার কথা ভাবছে সরকার। নতুন ধারা দুটি ১৫৩-সি ও ৫০৯-এ। ১৫৩-সি ধারায় কাউকে মৌখিক বা লিখিতভাবে সম্মানহানিকর নিন্দাসূচক মন্তব্য করলে বা জাতির ভিত্তিতে কারোর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করলে বা কোনও নির্দিষ্ট জাতির প্রতিহিংসা মূলক আচরণ বা আচরণে উৎসাহ দান করলে অজামিন যোগ্য ৫ বছরের হাজতবাস ও আর্থিক জরিমানা হতে পারে।
এর সঙ্গেই ৫০৯-এ এই ধারায় কোনও নির্দিষ্ট জাতির প্রতি অপমানজনক অঙ্গভঙ্গি করলে, অসম্মানজনক শব্দ ব্যবহার করলে হাজতবাসের সময়সীমা আরও ৩ বছর বাড়তে পারে।
দেশের বিভিন্নপ্রান্তে বসবাসকারী উত্তরপূর্বের মানুষদের প্রতি একের পর এক বর্ণবৈষম্য মূলক ঘটনা সামনে আসায় ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বেজবরুয়া প্যানেল তৈরি হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন সরকার এই দুটি প্রস্তাবিত ধারা নিয়ে আলোচনা করেছে। সংসদে বিল আনার কথা তাঁরা ভাবছেন। সংসদে এই বিল পাস হয়ে গেলেই এই আইন প্রণয়ন করা হবে তিনি জানিয়েছেন।