টেলিকম দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট আনছে সিবিআই
প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী প্রমদ মহাজনের সময় ঘটে যাওয়া টুজি স্পেকত্রম কাণ্ডের দেড় বছর পর পুনরায় তদন্ত শুরু করল সিবিআই। এনডিএ জমানায় টেলিকমক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে তিনটি বেসরকারি সেলুলার সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট আনতে চলেছে সিবিআই।
প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী প্রমদ মহাজনের সময় ঘটে যাওয়া টুজি স্পেকত্রম কাণ্ডের দেড় বছর পর পুনরায় তদন্ত শুরু করল সিবিআই। এনডিএ জমানায় টেলিকমক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে তিনটি বেসরকারি সেলুলার সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট আনতে চলেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার চার্জশিট থেকে বাদ যাবেন না টেলিকম মন্ত্রকের কয়েকজন প্রাক্তন আমলাও। এমনকি পৃথক চার্জশিটে প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী প্রমোদ মহাজনের নামেরও উল্লেখ থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
সিবিআইয়ের বক্তব্য প্রমোদ মহাজন টেলিকম মন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির জেরে দেশের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০৮ কোটি টাকা। যদিও, এনডিএ জমানায় ২০০১-২০০৩ পর্যন্ত টেলিকম পোর্টফলিওর দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা অরুণ শৌরিকে ইতিমধ্যেই ক্লিনচিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের বক্তব্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে দিল্লি এবং মুম্বইয়ের তিনটি বেসরকারি সেলুলার সংস্থার আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছে। সংস্থাটি থেকে জানানো হয়েছে টুজি স্পেকত্রমের সময় শৌরি ও তার বিভাগের সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু শৌরির বিরুদ্ধে কোনোরকম অসংগতি দেখা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের দ্বারা সিবিআই স্পেকট্রাম কাণ্ডে বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের ও ডি এম কে নেতা দয়ানিধি মারানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। অভিযোগ ২০০৬ সালে বেআইনিভাবে তাঁরা বিতর্কিত এয়ারসেলের ৭৪% স্বত্ব মালয়েশিয়ান কোম্পানি ম্যাক্সিকে বিক্রি করেছিল।