মারানের বাড়িতে সিবিআই হানা, এফআই আর দায়ের

স্পেকট্রাম কাণ্ডে পি চিদম্বরমের ভূমিকা নিয়ে মামলার রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এদিকে, প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী দয়ানিধি মারানের বাড়ি এবং অফিস মিলিয়ে মোট এগারোটি জায়গায় আজ অভিযান চালায় সিবিআই। দয়ানিধি মারানের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেছে সিবিআই।

Updated By: Oct 10, 2011, 09:29 AM IST

স্পেকট্রাম কাণ্ডে পি চিদম্বরমের ভূমিকা নিয়ে মামলার রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। এদিকে, প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী দয়ানিধি মারানের বাড়ি এবং অফিস মিলিয়ে মোট এগারোটি জায়গায় আজ অভিযান চালায় সিবিআই। দয়ানিধি মারানের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেছে সিবিআই। অথচ,এবার করুণানিধি কন্যা কানিমোলির জামিনের আবেদনের বিরোধিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।
স্পেকট্রাম কাণ্ডে অর্থমন্ত্রকের নোট প্রকাশ্যে আসার পরই গোটা দুর্নীতিতে জড়িয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের নাম। অর্থমন্ত্রকের সেই নোটকে সামনে রেখেই স্পেকট্রাম বন্টনে চিদম্বরমের ভূমিকা খতিয়ে
দেখতে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানান জনতা পার্টির নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই মামলার রায়দানই সোমবার স্থগিত রাখল শীর্ষ আদালত। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর বক্তব্য, এই মুহূর্তে চিদম্বরমকে আড়াল করাই
সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য। সোমবার সিবিআই এবং সরকারপক্ষের আইনজীবীরা চিদম্বরমের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আবেদনের পিছনে সরকারের স্থায়িত্ব বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা বলে আদালতকে জানিয়েছেন। এদিকে, প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী দয়ানিধি মারানের বাড়ি এবং অফিস মিলিয়ে মোট এগারোটি জায়গায় অভিযান চালাল সিবিআই। একযোগে অভিযান চালানো হয়েছে দিল্লি, চেন্নাই এবং হায়দরাবাদে। দয়ানিধি মারানের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেছে সিবিআই। দুর্নীতি বিরোধী আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাঁর ভাই কলানিধি মারান,এয়ারসেল এবং ম্যাক্সিসকে লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে দয়ানিধি মারানের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ তুলেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের অভিযোগ, এয়ারসেলকে লাইসেন্স ইস্যু করতে দেরি করায় সুবিধা পেয়ে যায় ম্যাক্সিস নামে টেলিকম সংস্থা। যার জেরে দয়ানিধি মারানের ভাই কলানিধির অ্যাস্ট্রো নেটওয়ার্কে মোটা টাকা বিনিয়োগ করে ম্যাক্সিস গোষ্ঠীর প্রধান আনন্দকৃষ্ণন এবং সিইও রালফ মার্শাল। এর জন্য প্রায় ছশো কোটি টাকা লেনদেন হয় বলে অভিযোগ করে সিবিআই। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে ডিএমকে সাংসদ কনিমোলির জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেনি সিবিআই। ফলে, ডিএমকে সাংসদ মুক্তি পেতে চলেছেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। স্পেকট্রাম কাণ্ডে ধৃত করুণানিধি কন্যা এখন তিহার জেলে বন্দি।

.