আবাসন শিল্প চাঙ্গা করতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল, ঘোষণা সীতারামনের
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, নোটবন্দির পর থেকে আবাসন শিল্পে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কমেছে ফ্ল্যাট বিক্রি। নগদ সঙ্কট, আইনি জটিলতা, কড়া ঋণনীতির জেরে আটকে রয়েছে নির্মাণ কাজ
নিজস্ব প্রতিবেদন: আবাসন নির্মাতাদের দাবি কার্যত মেনে নিয়ে রুগ্ন প্রকল্পগুলিকে চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শনিবার, সীতারামন জানান, অসমাপ্ত নির্মাণ প্রকল্পগুলোকে দ্রুত রূপায়নের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হবে। এতে লাভবান হবে দেশজুড়ে সাড়ে ৩ লক্ষ অসমাপ্ত আবাসন প্রকল্প।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, নোটবন্দির পর থেকে আবাসন শিল্পে মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কমেছে ফ্ল্যাট বিক্রি। নগদ সঙ্কট, আইনি জটিলতা, কড়া ঋণনীতির জেরে আটকে রয়েছে নির্মাণ কাজ। এর ফলে বিনিয়োগও থমকে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আবাসন নির্মাতারা। উল্লেখ্য এই সব সমস্যা বুঝতে কয়েক দিন আগে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন নির্মলা সীতারামন।
আরও পড়ুন- মর্মান্তিক! 'নাগিন ডান্স' করতে গিয়ে মৃত্যু হল যুবকের, দেখুন ভিডিয়ো
এ দিন নির্মলা সীতারামন বলেন, ফ্ল্যাটে কেনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে সরকারি কর্মচারিরা। ফ্ল্যাট কেনায় তাঁদের উত্সাহ দিতে পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা আরও বলেন, এ বার আয়করে ছোটোখাটো ফাঁকিতে মামলা করা হবে না। ২৫ লাখ টাকার কম আয়কর বকেয়ার ক্ষেত্রে ২ উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সিদ্ধান্তেই একমাত্র আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার মানে এই নয় কেউ চাইলেই কারোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।
দেশে মুদ্রাস্ফীতি অনেকটাই বেড়েছে বলে সুর চড়িয়েছে বিরোধী শিবির। এনিয়ে সীতারামন বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। বহুদিন ধরেই তা ৪ শতাংশের কমেই বেঁধে রাখা হয়েছে। শীঘ্রই উত্পাদন শিল্পে জোয়ার আসবে। দেশে বিপুল বিদেশি বিনিয়োগ আসবে এমন একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে।