২৬ জানুয়ারি দিল্লির সীমান্তে ট্রাক্টর মিছিল করা যাবে না, কৃষকদের জানিয়ে দিল কেন্দ্র
সরকারের তরফে একের পর এক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলিকে। কিন্তু বরফ গলেনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন- সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল (Tractor march) নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে দিল্লি পুলিসকেই। এই ব্যাপারে আদালত কোনও সিদ্ধান্ত নিলে কৃষকদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছতে পারে। তা ছাড়া দিল্লিতে সেদিন কত লোককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, তা নিয়ে পুলিস-প্রশাসনকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এবার ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দেশের রাজধানীর সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা ট্রাক্টর মার্চ করতে পারবেন না।
কৃষকদের আন্দোলন (Farmer's Protest) ৫৭ দিনে পড়ল। তবে এখনও সরকার ও কৃষকদের মধ্যে আলোচনায় কোনও ফল বেরোল না। কৃষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। সরকার তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহার না করলে তাঁরা আন্দোলন জারি করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন কৃষকরা। সরকারের তরফে একের পর এক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলিকে। কিন্তু বরফ গলেনি। এখনও পর্যন্ত ১১ বার বৈঠকে বসেছেন কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সরকার পক্ষ। এর আগেও রাজধানীর বিভিন্ন সীমান্তে ট্রাক্টর মিছিল করেছেন কৃষকরা। পাঞ্জাব, হরিয়ানার বহু কৃষক ট্রাক্টর নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিলেন। তবে ২৬ জানুয়ারি তাঁদের ট্রাক্টর মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র। নিরাপত্তাজনিত কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- ৫০ হাজারের চৌকাঠ পেরিয়ে ঐতিহাসিক উচ্চতায় সেনসেক্স
আন্দোলনে অংশ নিতে এসে বেশ কয়েকজন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। কনকনে শীত, বৃষ্টি ও অন্য প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে কৃষকরা আন্দোলন জারি রেখেছেন। ইতিমধ্য়ে পাঞ্জাব সরকার আন্দোলনে প্রাণ হারানো কৃষকদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে কৃষক আন্দোলন যে বৃহত্তর আকার নিতে পারে তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ট্রাক্টর মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর এবার পুলিসের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ভাবছে কৃষক সংগঠনগুলি। দিল্লির Outer Ring Road-এ ট্রাক্টর মিছিল করার অনুমতি চাইবেন কৃষকরা।