চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগ্রহ করলে এবার হতে পারে সাত বছরের জেল
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এদিন জানিয়েছেন, যেভাবেই হোক এবার চিকিত্সকদের উপর হামলা আটকাতে চাইছে সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন— এবার আর চিকিত্সকদের নিগ্রহ করে সহজে পার পাওয়া যাবে না। যেভাবেই হোক এবার চিকিতসকদের উপর হামলা আটকাতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। ডাক্তার, মার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা চালালে এবার সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। বুধবার একটি অর্ডিনান্স জারি করেছে কেন্দ্র। চিকিতসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা করলে এবার হামলাকারীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এদিন জানিয়েছেন, যেভাবেই হোক এবার চিকিত্সকদের উপর হামলা আটকাতে চাইছে সরকার। আর সেই জন্য জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন তাঁরা। চিকিতসক বা যে কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর উপর হামলা করলে এবার কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে হামলাকারীকে। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক চিকিত্সক নিগ্রহের ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার চিকিত্সদের পাশে রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এবার অর্ডিনান্স জারি করা হয়েছে। পুরনো আইনে সংশোধন করে নতুন করে এই অর্ডিনান্স আনা হয়েছে। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, অ্যাটেন্ড্যান্ট এবং আশাকর্মীর উপর হামলা হল হামলাকারীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন— দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই কাশ্মীরে, অবশেষে খতম ২ জঙ্গি, আরও দুইয়ের উদ্দেশ্যে চলছে তল্লাশি
সারা দেশে চিকিতসক নিগ্রহের একাধিক ঘটনার পর আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। করোনা মোকাবিলায় চিকিতসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছেন। এমন মহামারীর সময় চিকিত্সকদের আন্দোলন বড়সড় সমস্যা তৈরি করতে পারে, এই আশঙ্কাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এদিন ডাক্তারদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন। আলোচনা ফলপ্রসূ হওয়ায় চিকিত্সকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন।