Chandrayaan-3: এতদিনে পৃথিবীর বন্ধন ছাড়াতে পারল চন্দ্রযান-৩! সে এবার সত্যিই চন্দ্র-মুখী...
Chandrayaan-3 Leaves Earth’s Orbit: চন্দ্রযান-৩ কে এবার ট্রান্সলুনার অরবিটে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আগামী ৫ অগস্ট এটি চাঁদে পৌঁছবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। আর চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযানের সফ্টল্যান্ড হবে ২৩ অগস্টে। অন্তত তেমনই ধরে রেখেছে ইসরো।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চন্দ্রযান পৃথিবীর কক্ষপথ এবার পাকাপাকি পরিত্যাগ করল। এবং এবার এটা চাঁদের দিকে দৌড়ল। চন্দ্রযান-৩ কে এবার ট্রান্সলুনার অরবিটে ঠেলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আগামী ৫ অগস্ট এটি চাঁদে পৌঁছবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। আর চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযানের সফ্টল্যান্ড হবে ২৩ অগস্টে। অন্তত তেমনই ধরে রেখেছে ইসরো।
আরও পড়ুন: Jawan Missing: অন্ধকার বাজার থেকে হঠাৎই উধাও জলজ্যান্ত এক জওয়ান! রক্তের দাগ কীসের?
ভারতের এর আগের মিশন চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হয়েছে। ফলে চন্দ্রযান-৩ মিশন নিয়ে ভারত খুবই উত্তেজিত। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) চন্দ্রযান-৩ বহনকারী স্পেসক্র্যাফ্ট সাফল্যের সঙ্গে লঞ্চ করেছে। এটিই ভারতের হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। তৈরি হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। ১৪ জুলাই এটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
চাঁদে পাড়ি দেওয়ার আগে তাদের মহাকাশযান ধারণকারী পেলোড ফেয়ারিংকে জিওসিঙ্ক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক থ্রি-র সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিল ইসরো। ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেটের সঙ্গে পেলোড ফেয়ারিংয়ের জুড়ে দেওয়ার কাজটি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারেই হয়েছিল। অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই প্রকল্প নিয়ে ইসরো খুবই আত্মবিশ্বাসী ও উচ্ছ্বসিত। তারা জানিয়েছে, লুনার সারফেসে বা চাঁদের মাটিতে ঘোরার সময়ে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের ভূ-প্রকৃতি ও তার পরিবেশ নিয়ে 'ইন-সিটু কেমিক্যাল অ্যানালিসিস' চালাবে। এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু-অঞ্চলে ঘোরাফেরা করবে। চন্দ্রযান-৩ -এর মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে যান নামিয়ে চাঁদ-চর্চা শুরু করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেকর্ড করে ফেলবে ভারত। এই বিরল কাজটি সুষ্ঠু ভাবে করার ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হতে চলেছে ভারত।
আরও পড়ুন: Birth Certificate: চলে এল বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে বড় আপডেট, জেনে নিন নিয়মের জরুরি বদল...
আগামী ১৮ দিন ধরে এই চন্দ্রযান চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে। এটা যত চাঁদের দিকে যাচ্ছে তত তার গতি কমবে। চাঁদের ১০০ কিমি বৃত্তের মধ্যে যাবে এটি। এবারে একটা অন্য প্রযুক্তি অবলম্বন করা হয়েছে। পৃথিবীর মহাকর্ষবলকেই প্রকারান্তরে কাজে লাগানো হয়েছে। মহাকাশে যানটিকে ইনজেক্ট করার সময়েই সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হয়নি।