লোহার রডে লাগানো কাঁটা, অদ্ভুত অস্ত্র দিয়ে ভারতীয় জওয়ানদের মেরেছিল চিনের সেনারা
ভারতীয় জওয়ানদের মাথা লক্ষ করে এলোপাথাড়ি লাঠি, রডের আঘাত করতে থাকে চিনা সেনারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন- লাদাখে ভারত চিনের সেনাদের সংঘর্ষস্থল থেকে এক অদ্ভুত ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। প্রায় চার ফুট লম্বা লোহার রড। সেগুলোর মাথার দিকে লাগানো কাঁটা। রডের উপরদিকে প্রায় দেড় ফুট মতো অংশে পেরেকের মত ধারালো কাঁটা লাগানো রয়েছে। এমন অদ্ভুত অস্ত্র দিয়ে ভারতীয় সেনাদের মেরেছিল চিনের সেনারা। ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ক্লোজ কম্বাট বা মুখোমুখি হাতাহাতির সময় এই ধরনের অস্ত্র প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। আগেই জানা হয়েছিল, আগ্নেয়াস্ত্র নয় রড দিয়ে ভারতীয় সেনাদের ওপর চড়াও হয়েছিল চিনা বাহিনী। ভারতীয় সেনাদের ওপর এলোপাথাড়ি আক্রমণ করেছিল চিনের সেনারা। ভারতীয় সেনার চারজন জওয়ান আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের অবস্থা আগের থেকে ভাল বলে জানা গিয়েছে। ১৪ দিনের মধ্যে ওই চারজন সেনা ক্যাম্পে যোগ দিতে পারবেন বলে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় জওয়ানদের মাথা লক্ষ করে এলোপাথাড়ি লাঠি, রডের আঘাত করতে থাকে চিনা সেনারা। তাদের প্রাণে মেরে ফেলার জন্যই যে এমন হামলা করা হয়েছিল তাতে আর কোনো সন্দেহ নেই। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্তারা আন্দাজ করছেন, ইন্ডিয়ান আর্মির উপর চড়াও হওয়ার জন্যই চিনা সেনাবাহিনী লোহার রড মজুত করে রেখেছিল। সুযোগ হতেই সেগুলো দিয়ে হামলা চালায় তারা। ভারতের এক কোম্পানি সেনার উপর ওই হামলা হয়েছিল। চিনারা পরিকল্পিতভাবেই কাঁটা লাগানো রড দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। আর সেই সময় পাঁচ কোম্পানি চিনা সেনা ভারতীয় জওয়ানদের উপর আক্রমণ করেছিল বলে দাবি করা হয়েছে। উধমপুর সেনা হাসপাতালে ভর্তি সেনাদের সঙ্গে কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান আর্মির কর্তারা। তখনই তারা ওই সেনাবাহিনীর বিশেষ অস্ত্রের কথা জানতে পারেন।
আরও পড়ুন- ভারত চিন কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি, চিনের সঙ্গে ৪৭১ কোটির চুক্তি বাতিল করল রেল
এমনিতেই লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে প্রাণঘাতী হতে পারে। তার মধ্যে লোহার রডে আবার পেরেক লাগানো ছিল। ফলে জওয়ানদের যে কতটা মারাত্মক জখম হয়েছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এরই মধ্যে সীমান্তের উত্তেজনা কমানোর আশায় ভারত ও চীন সেনার মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছিল। কিন্তু বৈঠকে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ উত্তেজনা প্রশমনের এখনো পর্যন্ত কোনো আশা নেই। এরই মধ্যে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোলে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছে ইন্ডিয়ান আর্মি। নয়াদিল্লি থেকে সেনাকে লজিস্টিক কেনার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদিকে চিনা সেনার আক্রমণের হাত থেকে ভবিষ্যতে বাঁচার জন্য ভারতীয় সেনা কর্মীদের বডি আর্মার পাঠানো হচ্ছে। শুধুমাত্র রড নয়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতও আটকাতে পারবে ওই বডি আর্মার।