Skeleton Mystery: ৪ বছর বন্ধ বাড়ির দরজা খুলেই হাড়হিম দৃশ্য, শুয়ে ৫ কঙ্কাল
ওই পরিবারের ৫ সদস্যই অসুখে ভুগছিল, সেকথা জানত আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা। তবে তারা একলা থাকতে পছন্দ করত, অন্যদের সঙ্গে মিশতে পছন্দ করত না, একতাও সত্য। কিন্তু ৪ বছর ধরে তারা কোথায় গেলেন, এই নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এমন যে হতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবেনি পুলিস থেকে প্রতিবেশী কেউই। ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ এই বাড়ির দরজা। ৪ বছর পর খুলতেই ভয়ানক দৃশ্য দেখতে পেল পুলিস। ২টি ঘরে সারি দিয়ে শুয়ে ৫ কঙ্কাল। দুইটি খাটে ও দুইটি মেঝেয় এবং পাশের ঘর থেকে মেলে আরও একটি কঙ্কাল দেহাবশেষ। এই রহস্যজনক (skeleton mystery) ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ জেলায়।
আরও পড়ুন, Ayodhya Airport: ভারতীয় ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার মেলবন্ধন! সামনে এল অযোধ্যাধাম বিমানবন্দরের ছবি...
জানা গিয়েছে, পরিবারটি সম্পূর্ণ নির্জন জীবনযাপন করত। এরসঙ্গেই কিছু আত্মীয়রা জানিয়েছেন, যাদের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে তারা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিল। এই পাঁচজনকে শেষ দেখা গিয়েছিল জুলাই ২০১৯- এর কাছাকাছি। এবং এরপর থেকে তাদের বাড়িটি তালাবদ্ধ ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করছে, যে পাঁচটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন ৮০ বছরের বেশি বয়সি দম্পতি,তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
পিডব্লউডি ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন বছর ৮০-র জগন্নাথ রেড্ডি। তিনি তার স্ত্রী প্রেমাক্কা এবং কন্যা ত্রিবেণী এবং পুত্র কৃষ্ণ রেড্ডি এবং নরেন্দ্র রেড্ডির সঙ্গে থাকতেন। পুলিস জগন্নাথ রেড্ডির আত্মীয় পবন কুমারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। অভিযোগকারী দাবি করেছেন যে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে জগন্নাথ রেড্ডির সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। তিনি সন্দেহ করেছিলেন যে কঙ্কালগুলি জগন্নাথ ও তার পরিবারের হতে পারে। অভিযোগকারী মৃত্যুর কারণ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিসের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)